আর্কাইভ  শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪ ● ৭ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: ছুটি বাড়ল সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে       ডিমলা উপজেলা নির্বাচন॥ এমপির ভাই, ভাতিজা ও ভাতিজি বউ প্রার্থী-তৃণমূলে ক্ষোভ       কিশোরী গৃহকর্মীকে খুন্তির ছ্যাকা; রংপুর মেডিকেলে মৃত্যু যন্ত্রণায় পাঞ্জা লড়ছে নাজিরা       সারাদেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি       হিট অ্যালার্টে ৭ দিন স্কুল বন্ধের দাবি      

 width=
 

ফলো আপ-সৈয়দপুরে ওসির হাতে থাপ্পর খাওয়া বৃদ্ধা এবার পুলিশের মামলায় আসামী হলো

সোমবার, ৭ অক্টোবর ২০১৯, রাত ০৯:৩৭

বিশেষ প্রতিনিধি॥ নীলফামারীর সৈয়দপুর থানার ওসি শাহজাহান পাশার হাতে থাপ্পর খাওয়া ৭০ বছরের বৃদ্ধা ফাতেমা বেগম চৌধুরী পুলিশের দায়ের করা মামলায় আসামী হয়েছে। ওই মামলায় এই বৃদ্ধা সহ তার ছেলে সহ মোট ৯ জনকে আসামী করা হয়। আজ সোমবার(৭ অক্টোবর) বিকালে সাংবাদিকদের কাছে এমন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে ওই বৃদ্ধা সহ আসামীদের পক্ষে লোকজন। ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃস্টি করেছে। ওই মামলায় অপর আসামীরা হলো। ওই বৃদ্ধার ছেলে গোলাহাট এলাকার হিটলার চৌধুরী ভলু(৪৫) মৃত ইউসুফের ছেলে ইয়াকুব(৪২), সৈয়দ আলীর ছেলে কাজল(৩০), আইয়ুব আলীর ছেলে বাবু(৩৫), মৃত খোদা উদ্দিনের ছেলে সমশের আলী ওরফে সেরু(২৫), মৃত ইসমাইল হোসেনের ছেলে ইব্রাহিম(৪০) ও আরমান(৩৭) এবং সোহাগ সরকার চৌধুরী(২৬)। বিষয়টি সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহজাহান পাশা নিশ্চিত করে জানায় এই সকল আসামীরা হত্যার চেস্টার মামলার পলাতক ২ আসামীকে গ্রেফতারে বাধা, পলায়নে সহযোগিতা, পুলিশকে লাঞ্চিত করাসহ পরিকল্পিতভাবে সংঘবদ্ধ হয়ে বেআইনী প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির করে। মামলার বাদী হয়েছেন সৈয়দপুর থানার এস আই আবু বকর সিদ্দিকী। মামলা নং ১০। অপর দিকে পুলিশের মামলার আসামীদের মধ্যে হিটলার চৌধুরী ভলু সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন সৈয়দপুর থানার ওসি আমার বৃদ্ধা মাকে থাপ্প্র ও আমাকে গুলি করার হুমকীর ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহের চেস্টা করছে। তিনি বলেন চলতি বছরের ১২ সেপ্টেম্বর রাতে নিজবাড়িতে তার স্ত্রী সুরভী ইসলাম পপিকে (৩৫) ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা চালায় একই এলাকার মো. মুন্নার ছেলে রাজা এবং মৃত. সাগিরের ছেলে জীবন। আমি এই মামলার বাদী। সৈয়দপুর থানার ওসি আমার মামলার আসামীকে গ্রেফতারে ব্যর্থ হয়। আসামীরা ভারতে পালিয়ে গেছে এমন মন্তব্য করে। কিন্ত তিনি আসামীদের সন্ধ্যানে নিজেই তথ্য সংগ্রহ করে। এরপর আসামীদের পরিবারের সঙ্গে কৌশলে আসামীদের সৈয়দপুরে নিয়ে আসা হয়। আসামীরা এ ঘটনার নেপথ্যে যারা জড়িত তাদের নাম পরিচয় আমাকে জানায়। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের সামনে পুলিশের কাছে আসামীদের তুলে দেয়ার জন্য প্রস্তুতি নেন। কিন্তু ঘটনার দিন রাতে শনিবার সৈয়দপুর থানার ওসি সহ একদল পুলিশ তার বাসায় প্রবেশ করে। এরপর আসামীদের তাদের কাছে দিতে বলে। সাংবাদিকরা এলে আসামী দেয়া হবে জানালে ওসি ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে গুলি করার হুমকী দেয়। এ সময় আমার বৃদ্ধা মা প্রতিবাদ করলে ওসি আমার মা’কে থাপ্পর মারে। যখন এ অবস্থা চলছিল তখন আমার স্ত্রীর হত্যার চেস্টাকারী দুই আসামী পালিয়ে যায়। ভুলু চৌধুরী আরো অভিযোগ তুলে বলেন ওসি নিজেই আসামীদের পালানোর সহযোগীতা করেছে। এদিকে ভুলু চৌধুরীর বৃদ্ধা মা অভিযোগ করে জানায় ওসি আমাকে থাপ্পর মারলো,আমার ছেলেকে গুলি করার হুমকী দিলো। এখন উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। এই বৃদ্ধা ঘটনা সুষ্ঠু তদন্তে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ করেছে। উল্লেখ যে সোমবার (৭ অক্টোবর) উত্তরবাংলাডটকমে “৭০ বছরের বৃদ্ধাকে থাপ্পর মারার অভিযোগ সৈয়দপুর থানার ওসি বিরুদ্ধে“ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

মন্তব্য করুন


 

Link copied