মমিনুল ইসলাম রিপন: রংপুর আনসার ভিডিপির জেলা কমান্ড্যান্ট জিয়াউর রহমানের সততাকে চ্যালেঞ্জ করে তারই প্রতিনিধি সদর উপজেলা ভিডিপি কর্মকর্তা গোলাম রব্বানী টাকার বিনিময়ে ভিন্ন জেলা থেকে ভুয়া আনসার ভিডিপি সদস্য বানিয়ে পুজা মন্ডপে ডিউটি এবং বৈধ্য এক আনসার ভিডিপির সদস্যের কাছ থেকে টাকা না পেয়ে কলার ধরে বের করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগে জানা যায়, রংপুর জেলা কমান্ড্যান্ট জিয়াউর রহমান অসুস্থ্যতার কারনে সদর উপজেলা ভিডিপি কর্মকর্তা গোলাম রব্বানীকে তার প্রতিনিধি হিসেবে পুজা মন্ডপে ডিউটির জন্য বৈধ্য আনসার ভিডিপি সদস্যদের বাছাইয়ের দায়িত্ব দেন। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে গোলাম রব্বানী নিজ জেলার বৈধ্য আনসার ভিডিপি সদস্যদের বাদ দিয়ে জনপ্রতি ৯ শত থেকে ১ হাজার করে টাকা নিয়ে গাইবান্ধা জেলা থেকে দেড় শতাধিক সার্টিফিকেট বিহিন সাধারন মানুষকে আনসার ভিডিপির ভুয়া সদস্য বানিয়ে রংপুরের বিভিন্ন মন্দিরে ডিউটি করিয়েছেন।
আকমল ও নাসের ও বাতেন নামের আনসার ভিডিপির সদস্যরা জানান, গোলাম রব্বানী পূর্বে থেকেই টাকার প্রতি দূর্বল। তার অনেক কাহিনী আছে। যা বর্ননা করেও শেষ করা যাবে না। এই পুজা ডিউটিতে তিনি তার পূর্বের কর্মস্থল সাদুল্যাপুর উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের আনসার কমান্ডার বর্তমানে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডিউটিরত অঙ্গীভুত আনসার সদস্যদের এপিসি বকুল মিয়া ও একই উপজেলার ১ নং রসুলপুর ইউপির মহিলা দলনেত্রী মোশরেফার মাধ্যমে টাকার বিনিময়ে গাইবান্ধার সালেহীন, সাইদ আল মারুফ, মিলন, সফিউল, আব্দুল গফুরসহ দেড় শতাধিক বহিরাগতদের নিয়ে এসে আনসার ভিডিপি সদস্য বানিয়ে রংপুরের ২৬ নং দক্ষিণ বিশ্বনাথপুর হরি মন্দির, ৩৩ নং শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ মন্দির, ৩৭ নং বদিরাম খোদ্দপাড়া মন্দির, ৩৮ নং বৈরাগীপাড়া মন্দির ও ২৩ গঙ্গাদাস বড়াইপাড়া মন্দিরসহ বিভিন্ন মন্দিরে পুজার ডিউটি করিয়ে দুই লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। জেলা কামান্ড্যান্ট না থাকার সুযোগে গঙ্গাচড়া উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা রেজকেকুরজ্জামানও একই কাজ করেছেন বলে তারা জানান।
তারা আরও জানান, জেলা কমান্ড্যান্ট জিয়াউর রহমান প্রকাশ্যে ঘোষনা দিয়ে সবাইকে জানিয়ে দিয়েছেন ভোট বা পুজাসহ যে কোন ডিউটিতে আনসার ভিডিপি সদস্যদের কারো কাছে একটি টাকাও দিতে হবে না। টাকা ছাড়াই সবাই ডিউটি করবে। কেউ ডিউটির কথা বলে টাকা নিলে সেই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সব জেনেও গোলাম রব্বানী নিজে দম্ভ করে সবার সামনে বলে বেড়ায় আমি রেঞ্জ পরিচালকের একান্ত ব্যক্তি, আনসার ভিডিপি সদস্য কেন স্বয়ং জেলা কমান্ড্যান্টও আমার কিছুই করতে পারবে না। একারনে তিনি প্রায়ই সময় আনসার ভিডিপি সদস্যদের সাথে খারাপ আচরনও করে থাকেন।
এবিষয়ে গোলাম রব্বানীর ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি গাইবান্ধা থেকে ১২ থেকে ১৩ জনকে এনে পুজার ডিউটি করিয়েছি টাকা ছাড়া। আমার উপর আনিত অভিযোগ সব মিথ্যে একটিও সত্য নয়। গলার ধরার বিষয়টি হচ্ছে ওই ব্যক্তির কাছে ভুয়া সার্টিফিকেট ছিল বিধায় তাকে সতর্ক করা হয়েছে।
এ ব্যপারে জেলা কমান্ড্যান্ট জিয়াউর রহমানের ০১৭৩০----৯৯ নং এ ফোন দিলে তিনি জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি। টাকা দেয়ার সময় সকলের সার্টিফিকেট দেখে পুজা ডিউটির টাকা দেয়া হবে।