রাজশাহী: রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে দুইজন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে একজনের ডান পায়ে গুলির চিহ্ন রয়েছে আর আরেকজনের চাপাতির আঘাতে বাম হাতের বৃদ্ধাঙ্গুল বিচ্ছিন্ন হয়েছে। তাদেরকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে নগরের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে কাজলা ফুলতলা এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- নগরের ২৮ নম্বর ওয়ার্ড (পশ্চিম) স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক ও ফুলতলা এলাকার আসলাম আলীর ছেলে জুবায়ের হাসান জনি (২৬) ও একই এলাকার যুবলীগ কর্মী সিরাজুল ইসলামের ছেলে সুজন (২৮)।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস বলেন, জনি ও সুজন নামের দুইজন ভর্তি হয়েছেন। এদের মধ্যে ধারাল অস্ত্রের আঘাতে সুজনের একটি আঙুল কেটে গেছে। আর জনির পায়ে আঘাত কিসের সেটি পরীক্ষার পর বলতে পারবো।
মতিহার থানার ওসি হাফিজুর রহমান হাফিজ বলেন, ফুলতলা এলাকায় ড্রেজার বিরোধের জের ধরে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে দুইজন আহত হন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আহতরা দাবি করছে, সেখানে গুলি চালানো হয়েছে। তবে সেটি নিশ্চিত হওয়া যাবে তদন্তের পর।
ওসি বলেন, কয়েকজন শেয়ারে একটি মাটি খননের জন্য ড্রেজার কেনে ব্যবসার জন্য। কিন্তু দীর্ঘদিন যাবত ড্রেজারটি বন্ধ রয়েছে। শুক্রবার জনি ও সুজনসহ কয়েকজন ড্রেজারটি ঠিক আছে কি না দেখতে যায়। এ সময় ড্রাজারের অপর শেয়ারদার ২৮ নং ওয়ার্ড (পশ্চিম) আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুস সাত্তারের দুই ছেলে টনি ও ডনির সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। এর এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সেখানে তিনটি গুলি ছুঁড়া হয়েছে বলে দাবি করেছে জনি। তবে এ ব্যাপারে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
