অফিসে আমি খুব কড়া বস। এও জানি সবাই আমাকে পছন্দ করে না। তাছাড়া বয়সতো কম হল না। ৩৬ পার করেছি বিয়েটা করতে পারিনি।সোহাগ আমি বাল্য কালের বন্ধু। সোহাগ আমি প্লান করে এই ফ্লাট ভাড়া নিয়েছি। সোহাগ স্ত্রীকে আনার পর আমরা দুজনেই অবাক হয়ে যাই।কারন মিথিলা আমার অফিসের ষ্টাফ। অফিসে মিথিলাকে এড়িয়ে চলতাম ওর কাট কাট কথার জন্য। কি যে হয়ে গেল ওকে ছাড়া কিছুই ভাবতে পারি না। ইদানিং সোহাগের পাশে দেখলেই মাথা ঠিক থাকে না। বুকের ভিতরটা মোচড় দিয়ে উঠে। মাঝে মাঝে ছুটির সকালে সোহাগ এলোমেলো চুলে বেলকুনি বা ডাইনিং স্পেসে হাটাহাটি করলে আর মিথিলা গোসল করে সামনে এলে মাথাটা ঠিক থাকে না। মনে হয় সব ওলট পালট করে দেই। আজকের সকালটা একেবারেই অন্যরকম, তাড়াহুড়া করে একসাথে মূল গেট খুলতে গিয়ে ধাক্কা লেগে ওর হাতে থাকা মোবাইলটা পরে সব ছিন্ন হয়ে যায়। ব্যাটারি একদিকে সেটটা অন্যদিকে।আমি সরি বলবো দেখলাম নিচু হয়ে মোবাইল উঠাচ্ছে। যদি অন্য কেউ দেখে ফেলে তাই বল্লাম শাড়ি ঠিক করো।
অফিসে বসে ভুলতে পারছিলাম না। ওর গলার কাছে একটি তিল জ্বলজ্বল করছে। মনে হয় র্পূণিমার চাঁদ জোসনা ছড়াচ্ছে। প্রচন্ড ইচ্ছে হচ্ছে সেই জোসনায় ভিজতে-----।