মঙ্গলবার( ১৫ অক্টোবর) দিনগত রাতে ওই শিক্ষার্থীকে আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহত শিক্ষার্থী তামান্না আক্তার উপজেলার কমলাবাড়ি ইউনিয়নের চড়িতাবাড়ি গ্রামের আব্দুস সালামের মেয়ে। সে স্থানীয় মীরেরচর এলাকার সাকসেস কিন্ডারগার্টেন ও প্রি ক্যাডেট স্কুলের ৭ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী।
হাসপাতাল ও স্থানীয়রা জানান, ব্যক্তি মালিকানাধিন সাকসেস কিন্ডার গার্টেন ও প্রি ক্যাডেট স্কুলের ৮ম শ্রেনীর শিক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানের জন্য শিক্ষার্থীদের কাছে ৪০ টাকা হারে চাঁদা নির্ধারন করেন। সেই টাকা আদায় করতে প্রতিষ্ঠানের সহকারী পরিচালক বজলুর রহমান মঙ্গলবার(১৫ অক্টোবর) বিকেলের অধিবেশনে ৭ম শ্রেনীর ক্লাসে যান। এ সময় অধিকাংশ শিক্ষার্থী সেই চাঁদা না দেয়া সহকারী পরিচালক শিক্ষার্থীদের গালমন্দ করেন। শিক্ষকের গালমন্দের প্রতিবাদ করে শিক্ষার্থী তামান্না আক্তার।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সহকারী পরিচালক বজলুর রহমান শিক্ষার্থী তামান্না আক্তারকে বেধড়ক বেত্রাঘাত করেন। এক পর্যায়ে তামান্না সজ্ঞাহীন হয়ে মেঝেতে পড়ে গেলে সহপাঠিরা তাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পৌছে দেয়। রাতে পুনরায় সজ্ঞাহীন হয়ে পড়লে তার পরিবার আহত তামান্নাকে রাতেই আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
হাসপাতালের বেডে তামান্না আক্তার বলেন, গালমন্দ করার প্রতিবাদ করায় সহকারী পরিচালক বজলুর রহমান বেত দিয়ে এলোপাতারি মারপিট শুরু করে। এক পর্যয়ে মেঝেতে পড়ে যাই। এরপর আর কিছু বলতে পারি না। জ্ঞান ফিরলে নিজেকে হাসপাতালে দেখতে পাই।
সাকসেস কিন্ডার গার্টেন ও প্রি ক্যাডেট স্কুলের পরিচালক ফজলুল করিম বলেন, সহকারী পরিচালক বজলুর রহমান আমার ছোট ভাই হলেও শিক্ষার্থীকে বেত্রাঘাত করা ঠিক করে নি। শিক্ষার্থী আচরন খারাপ করায় তাকে হাতের বাহুতে মাত্র ৫টি বেত্রাঘাত করেছে। এরপর তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।
আদিতমারী হাসপাতালে জরুরী বিভাগের দায়িত্বে থাকা উপ সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার আব্দুস সালাম শেখ বলেন, অসুস্থ শিক্ষার্থী তামান্নার দুই হাতের মাংসপেশিতে বেত্রাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।