আর্কাইভ  মঙ্গলবার ● ১৯ মার্চ ২০২৪ ● ৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   মঙ্গলবার ● ১৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: রংপুরের আলু যাচ্ছে এশিয়ার বিভিন্ন দেশে       গ্রাহকের ৫০ লাখ টাকা নিয়ে উধাও পোস্টমাস্টার!       চার ঘণ্টা পর উত্তরবঙ্গের সাথে ঢাকার ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক       ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন       রংপুরে মিস্টি ও সেমাই কারখানায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা      

 width=
 

নীলফামারী পাসপোর্ট অফিসের এক কর্মচারী গ্রেফতার

বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০১৯, রাত ০৮:৫৫

ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়, নীলফামারী ১৭ অক্টোবর॥ বেশ কিছুদিন ধরে নীলফামারী আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে পাসপোর্ট করতে আসা সাধারন মানুষজনকে চরমভাবে হয়রানী, ঘুষ ছাড়া পাসপোর্ট হয়না এমন অভিযোগ ছড়িয়ে পড়েছিল। এমন ঘটনায় এক ভুক্তভোগীর মামলায় জেলা প্রশাসনের সহায়তায় পুলিশ পাসপোর্ট অফিসের কর্মচারী এনামুল হককে(৩৫) গ্রেফতার করেছে। গতকাল বুধবার(১৬ অক্টোবর) রাত আটটায় তাকে অফিস হতে গ্রেফতার করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার(১৭ অক্টোবর) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে ওই কর্মচারীকে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলা সুত্রে জানা যায়, জেলার সৈয়দপুর উপজেলার কুন্দল এলাকার নজির হোসেন (২৯) তার পরিবারের দুজনের পাসপোর্ট করার জন্য এসে দুই দিন থেকে হয়রানীর শিকার হচ্ছিলেন। নিয়ম মাফিক ব্যাংকে টাকা জমা ও সঠিক নিয়মে ফরম পূরণ জমা দেয়ার সময় তাকে নানাভাবে ভুল বের করে ফরম নিচ্ছিলেন না ওই কর্মচারী। এক পর্যায়ে নজির হোসেনের কাছে দুটি পাসপোর্ট করে দেয়ার নামে আড়াই হাজার টাকা দাবি করা হয়। এ টাকা না দিলে তার পাসপোর্ট ফরম জমা নেয়া হবেনা বলে সাফ জানিয়ে দেন কর্মচারী এনামুল হক। তিনি বিষয়টি জেলা প্রশাসনের কাছে গোপনে তুলে ধরে ওই কর্মচারীকে টাকা দিতে রাজি হয়। এরপর বুধবার (১৬ অক্টোবর) বিকালে টাকা প্রদানের দৃশ্য ভিডিওসহ বিষয়টি পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালককে বিষয়টি অবগত করে। ঘটনাটি চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে সেখানে লোকজনের ভিড় বাড়তে থাকে। অনেকের কাছ থেকে ঘুষ নেয়ার বিষয়টি প্রকাশ্য হলে কর্মচারী এনামুলের শাস্তি দাবি করেন বিুব্ধরা। এ সময় জেলা শহরের শাহীপাড়া এলাকার মোহাম্মদ দ্বীপ অভিযোগ করে বলেন, তিনটি পাসপোর্ট করতে এসে তাকে অনেক হয়রানির শিকার হতে হয়। এ জন্য এনামুল অতিরিক্ত ৭ হাজার টাকা নেন। এরপর ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আজাহারুল ইসলাম ও নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) মাহবুব হোসেন উপস্থিত হন। বিষয়টি দীর্ঘ সময় ধরে তদন্ত হলে কর্মচারী এনামুল হক টাকা নেয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, শুধু আমি নই কর্মকর্তাদের কাছেও এই টাকার ভাগ যায়। তবে উপ-সহকারী পরিচালক শহীদ উল্লাহ বলেন, আমার নাম ভাঙ্গিয়ে টাকা আদায় হতো বিষয়টি আমার জানা ছিলো না। আরো কেউ এর সঙ্গে জড়িত থাকলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নীলফামারীর থানার ওসি মোমিনুল ইসলাম জানান রাতে এ ঘটনায় নজির হোসেন বাদী হয়ে মামলা করলে নীলফামারী আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের কর্মচারী এনামুলকে গ্রেফতার করা হয়।

মন্তব্য করুন


 

Link copied