বিশেষ প্রতিনিধি॥ নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিকী সম্মেলন আগামী ২২ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী ও আঃলীগের সভাপতি শেখ হাসিনা সকল বিতর্কিত, দূর্নীতিবাজ, ভূমিদস্যু, গডফাদার, যুদ্ধাপরাধীর সন্তান অনুপ্রবেশকারীদের আওয়ামী লীগের দলীয় কোন পদে না রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। এ ছাড়া সম্প্রতি রংপুর বিভাগীয় আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ন সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবীর নানক বলে গেছেন এই সমস্ত নেতা কর্মীদের দল থেকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করে দেওয়া হবে।
সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের তৃণমুল নেতাকর্মীরা প্রশ্ন তুলে বলেন প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জাহাঙ্গীর কবির নানকের এই নির্দেশ সৈয়দপুরের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে কি। তাদের অভিযোগ সৈয়দপুরে ক্যাসিনো জুয়ার মতো যারা সৈয়দপুরে রেলের জমি ও কোয়াটার অবৈধভাবে দখল করে একের পর এক ফায়দা লুটে কোটি কোটি টাকার বানিজ্য করেছে এবং রাজাকার পরিবারের সংন্তানকে সঙ্গে নিয়ে হুমকী ধমকি দিয়ে সৈয়দপুর আওয়ামী লীগের শীর্ষপদ দখলের পায়তারা করছে। এ জন্য ওই চক্রটি ১৬ই অক্টোবর শহরের সাহেব পাড়াস্থ রেলওয়ের জমিতে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গভীর রাত অবধি তাদের মতাদৈশ্যদের ডেকে নিয়ে বিভ্রান্তমূলক মিথ্যা তথ্য এবং উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বিষদাগার করেন। তারা নিজেরে স্বার্থ হাসিলে যেন বঙ্গবন্ধুর আর্দশে গড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হুমকী দিচ্ছে। তারা আসন্ন উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে শীর্ষ পদ দখলে নীলনক্সা করছে। এই নীলনক্সায় তারা সৈয়দপুর আওয়ামী লীগের কমিটিকে হাতিয়ে নিয়ে সেখানে ৭১ এর স্বাধীনযুদ্ধের সময় হত্যাকারী লুটপাটকারী রাজাকার পরিবারের উত্তরসুরী রেলে কারখানার লোহাচোর, মাদক ব্যবসায়ী, সহ নানান বিতর্কিত মানুষকে দলের নেতা বানানোর টপ দিয়েছে। তারা উপজেলা আওয়ামীলীগের শক্তিশালী অবস্থানকে নস্যাৎ করার পরিকল্পনায় নানান ফন্দি ফিকির করছে। গভীর রাত পর্যন্ত চলা ওই সভায় রেলের ভুমিদস্যুরা নীল নক্সা পরিকল্পনায় বিশেষ ভূরিভোজের আয়োজন করে। সেই সঙ্গে উপস্থিত চক্রদের হাতে ধরিয়ে দেয় মুখবন্ধ বিশেষ খাম।
এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আখতার হোসেন বাদলের সাথে কথা বললে তিনি জানান এটি উপজেলা আওয়ামীলীগের কোন মিটিং ছিলনা, এখানে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বা সাধারন সম্পাদক কে অবহিত বা অনুমতি নেওয়া হয়নি এটি উপজেলা চেয়ারম্যান সাহেব দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নিজের প্রভাব খাটিয়ে অসাংবিধানিক এবং অসাংগঠনিকভাবে তার ডেরায় ওই সভা করেছে। চক্রটি কালো টাকার প্রভাব খাটিয়ে পদ পাওয়ার জন্য স্থানীয় এক রাজাকার পুত্র যুদ্ধাপরাধী সন্তানকে নীলনক্সা করছে।