আর্কাইভ  মঙ্গলবার ● ১৯ মার্চ ২০২৪ ● ৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   মঙ্গলবার ● ১৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: রংপুরের আলু যাচ্ছে এশিয়ার বিভিন্ন দেশে       গ্রাহকের ৫০ লাখ টাকা নিয়ে উধাও পোস্টমাস্টার!       চার ঘণ্টা পর উত্তরবঙ্গের সাথে ঢাকার ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক       ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন       রংপুরে মিস্টি ও সেমাই কারখানায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা      

 width=
 

এক বছরের সংসার স্বামী বলছে সে আমার স্ত্রী নয়!

রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০১৯, বিকাল ০৭:৩৭

বিশেষ প্রতিনিধি॥ প্রতিবেশী প্রাইভেট টিউটরের সাথে প্রেমের স¤পর্ক। এরপর নোটারি পাবলিকে এভিডেভিট, কাজী অফিসে বিয়ে রেজিট্রি। দীর্ঘ প্রায় এক বছর সংসার করার পরও স্বামী বলছে সে আমার স্ত্রী নয়। এ অবস্থায় ঠিক এ ভাবে স্ত্রীকে নিজবাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে স্বামী। এমকি স্ত্রী ও স্ত্রীর পরিবারের বিরুদ্ধে থানায় জিডি করেছে তারা। নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের কয়া বাঁশবাড়ী জামে রিজভিয়া মাদরাসা মহল্লায় এমন ঘটনা নিয়ে তোলপাড় সৃস্টি হয়েছে। আজ রবিবার(২০ অক্টোবর) দুপুরে সাংবাদিকরা অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে জানতে পারে একই এলাকার মো: ফারুকের মেয়ে কলেজ ছাত্রী রাহাত আঞ্জুম কেয়া (২০)। প্রাইভেট পড়ার সুবাদে প্রেম হয় প্রতিবেশী আখতার হোসেনের ছেলে মো: ওয়াসিম আকরামের(২৭) সাথে। ২০১৭ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি এই প্রেমিক যুগল নোটারি পাবলিকে এভিডেভিট এবং স্থানীয় কাজী অফিসে গিয়ে বিয়ে স¤পন্ন করে। ছেলের পরিবার তাদের বিয়ে এক বছর আগে মেনে নিয়ে পুত্রবধুকে বাড়িতে তোলে। চলতে থাকে সংসার। কিন্তু হঠাৎ করে ওয়াসিমের পরিবারের লোকজন কেয়াকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয় এবং ওয়াসিম ও কেয়ার বিয়ে হয়নি বলে প্রচার করতে থাকে। কেয়া বাধ্য হয়ে আশ্রয় নেয় বাবার বাড়িতে। স্বামী ওয়াসিম তার সাথে যোগাযোগ স¤পূর্ণরূপে বন্ধ করে দেয়। এলাকাবাসী ও সচেতন মহল ছেলে পক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসে স্ত্রীকে ঘরে তোলার আহবান জানায়। কিন্তু তারা সাফ জানিয়ে দেয় কোন বিয়েই হয়নি। প্রশ্ন উঠে তাহলে এক বছর তারা সংসার করলো কেমন করে। উত্তরে ছেলে জানায় আমরা পৃথক ঘরে থাকতাম। মেয়ে বলছে তা কেন হবে। স্বামী স্ত্রীর যা সর্ম্পক আমরা সেই ভাবে সংসার করতাম। এখন কোনোভাবেই এ বিয়ে মেনে নেয়া হবে না বলে ওয়াসিমের পরিবার থেকে সাফ জানিয়ে দেয়া হয়েছে। এতে চরম বিপাকে পড়েছে কেয়া ও তার পরিবার। এ ব্যাপারে কেয়ার মা আঁখি বেগম জানান, ওয়াসিম আমার মেয়ের সরলতার সুযোগ নিয়ে তাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করেও এখন অস্বীকার করছে। এমনকি ওয়াসিম এক প্রভাবশালী ও রাজনৈতিক নেতার মাধ্যমে কাজী অফিস থেকে বিয়ের কাবিননামা গায়েব করে দিয়েছে। ঘটনাক্রমে নোটারী পাবলিকের বিয়ের এভিডেভিটের কাগজটি আমাদের কাছে রয়েছে। এই কাগজ বের হলে তারা এখন প্রস্তাব দেয় মোটা অংকের যৌতুক দিতে হবে। কিন্ত যৌতুক দিতে অস্বীকার করায় এবং বিয়ে করে কেন এমন প্রতারণা করা হচ্ছে জানতে চাইলে কেয়ার স্বামী উল্টো স্ত্রী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে সৈয়দপুর থানায় ডায়েরি করেছে। সাংবাদিকরা কেয়ার স্বামী ওয়াসিরে সাথে কথা বললে তিনি কেয়ার সাথে স¤পর্ক ও বিয়ের কথা প্রথমে অস্বীকার করেন। নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ে এভিডেভিটের কাগজ দেখানো হলে তিনি কথা উল্টিয়ে বলেন এটি বিয়ে নাকি- এটা আমার সাথে প্রতারণা করা হয়েছে। আমাকে ধোকা দিয়ে ওই স্ট্যাম্প পেপারে সই নেয়া হয়েছে। কেয়াকে নিয়ে কাজী অফিসে যাওয়ার কথা ওয়াসিম স্বীকার করলেও তদের বিয়ে হয়নি বলে পুনরায় দাবি করেন। এ ব্যাপারে কেয়া জানায় আমার স্বামী আমাকে এখন অস্বীকার করছে কেন বুঝতে পারছিনা। তারা যদি ঘটনা সমাধান করে আমাকে তাদের ঘরে পুনরায় না তুললে আমাকে আইনের আশ্রয় নিতে হবে। #

মন্তব্য করুন


 

Link copied