আর্কাইভ  বৃহস্পতিবার ● ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ● ৫ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   বৃহস্পতিবার ● ১৮ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: পলাশবাড়ীতে আসামির ছুরিকাঘাতে বাদীর মৃত্যু, গ্রেফতার ১       মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের সন্তান-স্বজনের ভোটে না দাঁড়ানোর নির্দেশ       ভোজ্যতেলের দাম বাড়ল, খোলা তেলে সুখবর       বিএনপি নেতা সোহেলের নিঃশর্ত মুক্তি দাবিতে রংপুরে  মানববন্ধন ও সমাবেশ        খরার ঝুঁকিতে রংপুর অঞ্চল      

 width=
 

প্রাথমিকের শিক্ষকদের সুখবর

সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০১৯, দুপুর ১০:৪১

বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আকরাম আল হোসেন বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের ১০তম গ্রেড ও সহকারীদের ১২তম গ্রেড দেয়ার প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে ফিরিয়ে দেয়ার পর এই বিষয়ে আবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিবের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তার সঙ্গে বৈঠক করে প্রধান শিক্ষকদের ১১তম ও সহকারীদের ১৩তম গ্রেড দেয়ার সম্মতি জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, বর্তমানে প্রশিক্ষণবিহীন সহকারী শিক্ষকরা ১৫তম গ্রেড ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা ১৪তম গ্রেড; প্রধান শিক্ষকরা প্রশিক্ষণবিহীন ১২তম গ্রেড ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা ১১তম গ্রেড পেয়ে থাকেন। তবে এটি পরিবর্তন করে যোগদানের পরেই প্রধান শিক্ষকরা ১১তম ও সহকারী শিক্ষকরা ১৩তম গ্রেড পাবেন। সহকারী শিক্ষকরা পদোন্নতি পেয়ে সিনিয়র সহকারী শিক্ষক হয়ে ১২তম গ্রেড পাবেন। এ সংক্রান্ত প্রস্তাব দ্রুত অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।

আকরাম আল হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন বৈষম্যদূরীকরণে কাজ শুরু হয়েছে। নতুন গ্রেড বাস্তবায়ন হলে এ বৈষম্য অনেকটা কেটে যাবে।

কেউ বেতন বাড়ানোর নামে আন্দোলনে যুক্ত হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘‘এ বিষয়ে আমরা কঠোর অবস্থানে। বিষয়টি নিয়ে প্রতিমন্ত্রীর (জাকির হোসেন) সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। এই ইস্যুতে যেই আন্দোলনে নামবে, তাদের তালিকা তৈরি করে ব্যবস্থা নিতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে (ডিপিই) বলা হয়েছে। শিক্ষকদের সতর্ক করতে ডিপিই থেকে সতর্কবার্তা জারি করা হবে।’’

এদিকে, গ্রেড পরিবর্তন ও বেতন বৈষম্য দূরীকরণের দাবিতে নতুন করে আন্দোলনে নেমেছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। প্রধান শিক্ষকদের ১০তম ও সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডের দাবিতে আগামী ২৩ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশ করার কথা রয়েছে। সেখান থেকে সমাপনী পরীক্ষা বর্জন ও লাগাতার কর্মবিরতি কর্মসূচির ঘোষণা দেয়া হতে পারে।

সারা দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় পৌনে চার লাখ শিক্ষক এ আন্দোলনে যুক্ত হয়েছেন। এজন্য প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষকদের ১৪টি সংগঠন মিলে সম্প্রতি গঠিত হয়েছে ‘বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদ’। এ পরিষদের মাধ্যমে আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণার পর ১৪ অক্টোবর সারা দেশের প্রায় ৬৬ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন, পরদিন দুই ঘণ্টা ও ১৬ অক্টোবর অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করা হয়।

বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ বলেন, প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য নিরসনে প্রাথমিক এবং গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বার বার প্রতিশ্রুতি দেয়া হলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। প্রধান শিক্ষককে ১০তম ও সহকারীদের ১১তম গ্রেড দেয়ার দাবি জানান তিনি। গ্রেড পরিবর্তনে নতুনভাবে যে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, তা তারা মেনে নেবেন না।

মন্তব্য করুন


 

Link copied