আর্কাইভ  বৃহস্পতিবার ● ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ● ১২ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   বৃহস্পতিবার ● ২৫ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলা বিএনপির সভাপতি কমেট দল থেকে বহিস্কার       নীলফামারীতে রংপুর বিভাগীয় কমিশনারের মতবিনিময় সভা       সৈয়দপুরে হিটস্ট্রোকে ১ জনের মৃত্যু       মিয়ারমার থেকে নিখোঁজ ছেলে ফিরলো        রংপুরে নবীজীর খাবার নিয়ে কটুক্তি করায় যুবক গ্রেফতার      

 width=
 

দিনাজপুরের সেই এসিল্যান্ড প্রত্যাহার

সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০১৯, দুপুর ১১:৩৬

ডেস্ক রিপোর্ট: যার কারণে এক মুক্তিযোদ্ধা রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রত্যাখ্যানের কথা মৃত্যুর আগে লিখে গিয়েছেন বলে অভিযোগ দিনাজপুরের সেই সহকারী কমিশনারকে (এসিল্যান্ড) প্রত্যাহার করা হয়েছে। রংপুর বিভাগীয় কমিশনার এ এম তারিকুল ইসলাম বলেন, এসিল্যান্ড আরিফুল ইসলামকে রোববার দিনাজপুর সদর উপজেলা থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

ছেলেকে চাকরি ও আবাসচ্যুত করার কারণে মৃত্যুর পর রাষ্ট্রীয় মর্যাদা না নেওয়ার কথা লিখে যান দিনাজপুরের মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল হোসেন। সেইমতে গার্ড অব অনার ছাড়া তাকে দাফন করা হয়। বিষয়টি নিয়ে দেশব্যাপী তোলপাড়ের মধ্যে এসিল্যান্ডকে প্রত্যাহারের এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো।

মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল হোসেনের ছেলে নুর ইসলাম দিনাজপুর সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরিফুল ইসলামের গাড়িচালক ছিলেন। নুর ইসলামের ভাষ্য, সহকারী কমিশনারের স্ত্রীর কথামতো রান্না করার পর তা ভালো না হওয়ার অজুহাতে তাকের চাকরিচ্যুত করা হয় এবং তাকে দেওয়া সরকারি বাড়িটিও কেড়ে নেওয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে নুর ইসলামের বাবা মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল হোসেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ইকবালুর রহিমসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে ঘুরেও কোনো ফল পাননি।

শেষে অসুস্থ অবস্থায় গত মঙ্গলবার তিনি হাসপাতালের বেডে বসে একটি চিঠি লেখেন সাংসদ ইকবালুর রহিমের কাছে। সেখানে তিনি বলেন, তাকে যেন মৃত্যুর পর গার্ড অব অনার দেওয়া না হয়। জীবিত অবস্থায় যারা তাকে তুচ্ছ করেছে মৃত্যুর পর তারা যেন তাকে স্যালুট না দেয়। এর পরদিনই দিনাজুরের এম এ রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পর যথারীতি জেলা প্রশাসন থেকে গার্ড অব অনার দল তাদের বাড়ি গেলে স্বজনদের বাধার কারণে গার্ড অব অনার দিতে পারেনি। গার্ড অব অনার ছাড়াই বৃহস্পতিবার তাকে দাফন করা হয়।

এরপর বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রচারের পর শুক্রবার দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি গিয়ে নুর ইসলামকে চাকরি দেওয়ার প্রস্তাব দিয়ে আসেন।

ওই সময় নুর ইসলাম বা তার পরিবারের কেউ কিছু না বললেও পরদিন (শনিবার) তার স্বজনরা চাকরি প্রত্যাখ্যানের কথা জানান।

মন্তব্য করুন


 

Link copied