আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: জমি রেজিস্ট্রি করে না দেয়ায় বাবাকে কবর দিতে ছেলের বাঁধা ॥ পুলিশের হস্তক্ষেপে দাফন সম্পন্ন       নীলফামারীতে স্বামীর প্রথম বিয়ের খবরে নববধূ দ্বিতীয় স্ত্রীর আত্মহত্যা ॥ স্বামী গ্রেপ্তার       রংপুরবাসীর জন্য সরকারি চাকরি, পদ ১৫৯       স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা      

 width=
 

নীলফামারীতে লবন নিয়ে গুজব॥পুলিশের অভিযানে ৫ জন অসাধু ব্যবসায়ী আটক

মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০১৯, বিকাল ০৭:৩০

ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়,নীলফামারী ১৯ নভেস্বর॥ লবনের দাম বৃদ্ধি পেয়ে ১০০ টাকায় উঠবে এমন গুজব ছড়িয়ে পড়েছে নীলফামারী জুড়ে। গুজবের তেলেসমাতির কারনে লবন সংগ্রহে শতশত ভোক্তরা দোকানে হুমড়ে খেয়ে পড়ে। আজ মঙ্গলবার(১৯ নভেম্বর) সকাল হতে এমন পরিস্থিতি সৃস্টি হলেও বাজারে কোন লবনের সংকট বা ঘাটতি ছিলনা। এরপরও বাসাবাড়ির মানুষজন লবন কিনতে দোকানে দোকনে হুমড়ি খেয়ে পড়ে। জেলা প্রশাসন,উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশের পক্ষে হাটবাজারে লবন নিয়ে গুজবে কান না দেয়ার জন্য মাইকে প্রচারনা করা হয়। তবে লবনের কেজি বেশী দরে বিক্রির অভিযোগে ৫ জন অসাধু ব্যবসায়ীকে আটক করেছে ডোমার থানা পুলিশ। আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ডোমার থানার ওসি মোস্তাফিজার রহমান। আটকৃতরা হলোঃ আনোয়ার হোসেন(৫০), মঙ্গল মালাকার(৫৫) ও চঞ্চল কর্মকার(২৫), রুবেল ইসলাম(৪৫) ও আজগর আলী(৫০)। ডিমলা উপজেলার সঠিবাড়ি বাজারে লবনের কেজি ১২০ টাকায় বিক্রির অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী। সেখানে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ অভিযান চালালে অসাধু ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়। একই অবস্থা ছিল কিশোরীগঞ্জ উপজেলার বড়ভিটা বাজারে। নীলফামারী জেলা শহরের বড় বাজারের লবন ব্যবসায়ী তাপন ভৌমিক বলেন, লবনের দাম বাড়েনি। তবে হঠাৎ করে বিক্রি বেড়েছে। কেউ কেউ এসে ১০ কেজি থেকে ২ বস্তা, ৫ বস্তা, ১০ বস্তা, কেউবা ৪০ বস্তা পর্যন্ত লবন কিনে নিয়ে গেছে। তিনি জানান, টাঙ্গাইল থেকে কে বা কারা লবনের মূল্য বৃদ্ধির গুজন ছড়িয়ে দেয়। এক ব্যাক্তি টাঙ্গাইলে মোবাইলে কার সঙ্গে যেন কথা বলে ৪০ বস্তা লবন কিনে নেয়। এরপর এই খবর ছড়িয়ে পড়লে শতশত মানুষজন এসে লবন কিনতে থাকে। তিনি জানান, আমরা ৭০ কেজি ওজনের বস্তা লবন নিয়ে আসি খুলনা থেকে। পরিবহন খরচ সহ প্রতি বস্তা লবন বিক্রি হচ্ছে নীলফামারীতে আটশত টাকা করে। এতে পাইকারীভাবে লবনের কেজি পড়ে প্রায় সাড়ে ১১টাকা। যা খুচরা হিসাবে মুদি দোকানীরা বিক্রি করেন ১৪/১৫ টাকা কেজি। তিনি আরো জানান পাইকারী ভাবে প্যাকেট লবন বিভিন্ন কোম্পানীর বিভিন্ন দামে বিক্রি হয়। যেমন পদ্মা লবন ১৫ টাকা ২০ পয়সা করে ২৫ কেজির কার্টুনের দাম পড়ে ৩৮০ টাকা,এসিআইএর ২৪ টাকা ৮০ পয়সা কেজি দরে ২৫ কেজি কার্টুনের দাম ৬২০ টাকা ও ফ্রেস লবন ২৪ টাকা ৪০ পয়সা কেজি হিসাবে ৬১০ টাকা হয়। খুচরা ব্যবসায়ীরা পদ্মা লবন ২০ টাকা, এসিআইএর লবন ২৮ টাকা ও ফ্রেস লবন ২৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছে। বড় বাজারের আরেক লবন ব্যবসায়ী দাস ট্রেডাসের মালিক মনি বাবু বলেন, বাজারে কোন ভাবেই লবনের দাম বৃদ্ধি পায়নি। আমরা আগের দামেই লবন বিক্রি করছি। নীলফামারীর বড় বাজারে লবনের দর পূর্বের ন্যায় থাকলেও শহরের বিভিন্ন স্থান সহ উপজেলা পর্যায়ে ৫০টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে ব্যাতিক্রম দেখা যায় ডিমলা উপজেলা সঠিবাড়ি বাজারে। সেখানে মুদি দোকানী সহ ব্যবসায়ীরা লবনের কেজি ১২০ টাকা দরে বিক্রি করতে থাকে। খবর পেয়ে সেখানে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ ছুটে গেলে অসাধু ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ করে পালিয়ে যায়। নীলফামারী চেম্বারের সাবেক সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ সরকার জানান, নীলফামারী বড় বাজারে প্রচুর লবন ব্যবসায়ী রয়েছে। এখানে লবনের মূল্য বৃদ্ধি করা হয়নি। পূর্বের দামেই লবন বিক্রি হচ্ছে।

মন্তব্য করুন


 

Link copied