আর্কাইভ  শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪ ● ৭ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: নীলফামারীতে গোপন বৈঠক থেকে জামায়াতের ৩ নেতা গ্রেপ্তার       পলাশবাড়ীতে আসামির ছুরিকাঘাতে বাদীর মৃত্যু, গ্রেফতার ১       মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের সন্তান-স্বজনের ভোটে না দাঁড়ানোর নির্দেশ       ভোজ্যতেলের দাম বাড়ল, খোলা তেলে সুখবর       বিএনপি নেতা সোহেলের নিঃশর্ত মুক্তি দাবিতে রংপুরে  মানববন্ধন ও সমাবেশ       

 width=
 

ছেলের চাকরি ফেরতের দাবিতে তিনদিন ধরে অনশনরত মুক্তিযোদ্ধা বাবা অসুস্থ

বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০১৯, বিকাল ০৫:৫৯

বিশেষ প্রতিনিধি॥ ছেলের চাকরি ফিরিয়ে দেয়ার দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো আজ বৃহস্পতিবারও(২১ নবেম্বর) আমরণ অনশন অব্যাহত রেখেছেন নীলফামরীর জলঢাকা উপজেলার শৌলমারী গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা বাবা রঙ্গলাল মহন্ত। তিনদিন ধরে অনশন করায় শারিরীকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন মুক্তিযোদ্ধা রঙ্গলাল। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে স্যালাইন দেয়া হয়েছে। ধীরে ধীরে তার শারিরীক অবস্থার অবনতি ঘটছে বলে জানিয়েছে পরিবারের সদস্যরা। গত মঙ্গলবার(১২ নভেম্বর) সকাল হতে তিনি পরিবার-পরিজন নিয়ে রংপুরে এসে বাংলাদেশ ব্যাংক রংপুর কার্যালয়ের সামনে আমরণ অনশন শুরু করেন। মুক্তিযোদ্ধা বাবা রঙ্গলাল মহন্ত ছেলের চাকরী ফিরিয়ে না দিলে মৃত্যুর পর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফনসহ বেঁচে থাকাকালীন সকল রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। নীলফামারী জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডিপুটি কমান্ডার কান্তি ভুষন কুন্ডু জানান, তিনদিন ধরে অনশনে থাকার কারনে মুক্তিযোদ্ধা রঙ্গলাল মহন্ত দিন দিন অসুস্থ হয়ে পড়ছে। তিনি অভিযোগ তুলে বলেন, যারা দেশ স্বাধীন করেছে সেই মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের সামান্য ভুলের কারনে চাকুরিচ্যুত করা হচ্ছে। এর ভেতরে বাসা বেঁধেছে জঙ্গী জামাত-শিবির। সুষ্ঠু তদন্ত হলে বেরিয়ে আসবে মুল ঘটনা। এদিকে মুক্তিযোদ্ধা রঙ্গলাল মহন্তের স্ত্রী সন্ধ্যা রানী বলেন, তার বড় ছেলে সাধন চন্দ্র মহন্ত পরিবারের একমাত্র উপার্জনম ব্যক্তি। সে নোট পরীক হিসেবে সাত বছর ধরে বাংলাদেশ ব্যাংকের রংপুর শাখায় কর্মরত ছিল। কিন্তু টাকা গণনার সময় গড়মিলের মিথ্যা অভিযোগ এনে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সহ ছেলের চাকরি ফেরতের দাবিতে পরিবারের সদস্যরা আমরণ অনশন শুরু করেছেন তারা। তিনি জানান, তাদের ছেলে সাধন চন্দ্র বাংলাদেশ ব্যাংক, রংপুর কার্যালয়ে মুদ্রা ও নোট পরীক্ষক পদে ৭ বছর ধরে চাকরি করতেন। সম্প্রতি নোট গণনাকালে একটি বান্ডিলে ৫০ টাকার একটি নোট এবং ৫শ টাকার বান্ডিলে দুটো নোট কম পাওয়া যায়। এতে তাকে দোষী সাব্যস্ত করে চাকরিচ্যুত করা হয়। তিনি বলেন, আমার ছেলে প্রথম গণনাকারী। দ্বিতীয় গণনাকারী গণনার পর চূড়ান্ত ঘোষণা করা হয়। প্রথম গণনাকারী হিসেবে আমার ছেলের ভুল হতে পারে। অথচ প্রথম গণনাকারী হিসেবে আমার ছেলেকে দোষী সাব্যস্ত করে বাধ্যতামূলক অবসর দেয়া হয়েছে যা সম্পূর্ণ বেআইনি। তিনি বলেন, ওই ঘটনার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফজলার রহমানকে সবাই জঙ্গি বলে জানে। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে সে আমার ছেলেকে ইচ্ছাকৃতভাবে দোষী সাব্যস্ত করেছে।নতুন করে তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানান তিনি। #

মন্তব্য করুন


 

Link copied