আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: জমি রেজিস্ট্রি করে না দেয়ায় বাবাকে কবর দিতে ছেলের বাঁধা ॥ পুলিশের হস্তক্ষেপে দাফন সম্পন্ন       নীলফামারীতে স্বামীর প্রথম বিয়ের খবরে নববধূ দ্বিতীয় স্ত্রীর আত্মহত্যা ॥ স্বামী গ্রেপ্তার       রংপুরবাসীর জন্য সরকারি চাকরি, পদ ১৫৯       স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা      

 width=
 

ডোমারে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন

বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০১৯, বিকাল ০৭:৩২

বিশেষ প্রতিনিধি॥ নীলফামারীর ডোমার উপজেলার জোড়াবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হাসানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দূর্নীতি ও অর্থ বানিজ্যের অভিযোগে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। আজ বুধবার(৪ ডিসেম্বর) সকাল ১১টা হতে ঘন্টাকালব্যাপী উপজেলার ডোমার-চিলাহাটি সড়কের ধঞ্চনবাজার স্থানে এই কর্মসুচিতে এলাকার বয়স্কো নারীরাও অংশ নেয়। জোড়াবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও এলাকার কয়েক'শ নারী-পুরষ ইউপি চেয়ারম্যানের দুর্নীতি বন্ধে এবং বিভিন্ন অপকর্মের বিচার ও অপসারনের দাবি জানায়। ডোমার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক তোফায়েল আহমেদ জানান, হাসান চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ। বিষয়টি জেলা প্রশাসক অবগত। মানববন্ধন চলাকালিন বিক্ষোভ সমাবেশে জোড়াবাড়ি ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা রোমজান আলী, ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম, ইউপি সদস্য জাহিদুল ইসলাম, ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি নুর মাহমুদ, ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি রাজকুমার রায়, ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হোসেন। উপস্থিত ছিলেন প্রতিটি ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকগন। বক্তারা অভিযোগ তুলে বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান ও তার ছেলে মমিনুল সহ সরকারি প্রকল্পের টাকা আত্মসাত, একই প্রকল্প দেখিয়ে বার বার বিল উত্তোলন, ভয় দেখিয়ে জিম্মি করে মেম্বারদের স্বার নেয়া, জন্মনিবন্ধন, জাতীয়তা সনদ ও ওয়ারিশ সনদ প্রদানে অতিরিক্ত ফি আদায়, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও বিভিন্ন অপরাধের কথা তুলে ধরে তার শাস্তি দাবি করে। জোড়াবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি নজরুল ইসলাম জানান, গত তিন দফায় জোড়াবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পরাজিত হয় আবুল হাসান। অনেক তদবিরের পর ২০১৬ সালের ৫ মে প্রথমবার দলীয় প্রতিকে নির্বাচনে নৌকা পেয়েই চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হন। এরপর হতে এ ইউনিয়নে শুরু হয় নতুন নিয়ম, টাকা ছাড়া মেলে না কোন সেবা। আমি উপজেলা আওয়ামী লীগের কাছে লিখিত ভাবে অভিযোগ দিয়ে দাবি করেছি হাসান চেয়ারম্যানকে দল থেকে বহিস্কারের জন্য। কর্মসুচিতে অংশ নেয়া প্রতিবন্ধী মোস্তফা(৫৫) জানান, একটা প্রতিবন্ধী কার্ডের জন্য চেয়ারম্যানের কাছে ধর্না দিতে দিতে আমি কান্ত। প্রতিবন্ধী কার্ডের জন্য বাপবেটা ১০ হাজার টাকা দাবি করে। টাকা দিতে পারিনি বলে কার্ড পাইনা। মাস্টার পাড়ার বাচ্চাউ মাহমুদের স্ত্রী সুফিয়া বেগম (৫৫) কাঁদতে কাঁদতে বলেন, আমার ছেলে নাই। আমি আর আমার বৃদ্ধ অসুস্থ স্বামী কোন সরকারী সহায়তা পাই না। চেয়ারম্যানের কাছে কোন সাহায্য চাইলে তিনি রাস্তার মাটি কাটার কাজের জন্য ১০ হাজার টাকা আমার কাছ থেকে নেয়। দুই বছর হলো কাজ আর পাই না। তেতলীতলা গ্রামের অধির চন্দ্রের স্ত্রী রেনা বালা বলেন স্বামী অসুস্থ। তাই মাটি কাটার কাজের জন্য ১৫ হাজার টাকা নেয় হাসান চেয়ারম্যান। ইউনিয়নের পশ্চিম পাড়ার আমিনুল ইসলামের স্ত্রী মঞ্জিলা বেগম (৫৯) বলেন, ১০ হাজার টাকা চুক্তি করে হাসান চেয়ারম্যান দূর্যোগ সহনশীল ঘর দেওয়ার কথা বলে আমার কাছে পাঁচ হাজার টাকা নেয়। এখন বাকি টাকাও নেয় না ঘরও দেয় না। তারা আরো জানান, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, দূর্যোগ সহনশীল ঘর প্রদান, মাতৃত্বকালীণ ভাতা ও ইউপি চেয়ারম্যানের অধীনে কোন প্রকল্পে চাকুরীসহ চেয়ারম্যানের স্বাক্ষরও নিতে হয় টাকার বিনিময়ে। ভিজিএফ এর চাল কালোবাজারে বিক্রি করে চেয়ারম্যান ও তার ছেলে। ইউপি মেম্বার মফিজুল জানান, আমরা একবার সকলে মিলে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা সহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে লিখিত অভিযোগ করেছিলাম। সে সময় চেয়ারম্যান ও তার ছেলে ক্ষমা চেয়ে আর কোন অনিয়ম ও দুর্নীতি করবে না বলে মুচলেকা দেয়। এবার এলাকাবাসী চেয়ারম্যান ও তার ছেলের কর্মকান্ডে অতিষ্ট হয়ে এখন আন্দোলনে নেমেছে। ইউপি সদস্য জাহিনুল ইসলাম জানান, সমন্বয় সভায় ফাঁকা রেজুলেশন খাতায় ইউপি সদস্যদের স্বাক্ষর নিয়ে ইচ্ছেমতো বিষয় উল্লেখ করে চেয়ারম্যানের ছেলে মমিনুল ইসলাম। আর মমিনুলেই ইউনিয়নের সকল কাজ পরিচালনা করে থাকে। আমরা ইউপি সদস্যরা কোন কিছুই করতে পারি না চেয়ারম্যান ও তার ছেলের সিন্ধান্তের বাইরে। ইউনিয়নের তিনজন সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য অভিযোগ করে জানায়, বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ ইউপি চেয়ারম্যান ও তার ছেলেই করে। আমাদের কোন মুল্যায়ন করেনা। এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যানের ছেলে মমিনুল ইসলামকে ইউনিয়নের সকল কার্যক্রম পরিচালনার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমিতো কিছু না। যারা আমার ও আমার বাবার বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে তারা কোন সুবিধা পায়না বলে মিথ্যে কথা বলছে। জোড়াবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হাসান বলেন, আমি ছাত্র লীগ, যুবলীগ ও আওয়ামা লীগ করে জীবন শেষ করে দিলাম। আমি এই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকার চেয়ারম্যান। আমি ডোমার উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি। আমি কোন অনিয়ম দুর্নীতি করিনা। #

মন্তব্য করুন


 

Link copied