আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা       রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

মায়ানমারের ইয়াবা এখন ভারত হয়ে বাংলাদেশে পাচার হচ্ছে!

শনিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০১৯, রাত ০৮:৫২

বিশেষ প্রতিনিধি॥ মিয়ানমারের মাদক লাল বা গোলাপী রং এর ইয়াবা ট্যাবলেট এখন ভারত সীমান্ত হয়ে বাংলাদেশে ঢুকছে! আর সেই পাচারের রুট হিসেবে এখন দুষ্কৃতীদের পছন্দের তালিকায় উঠে এসেছে উত্তরবঙ্গের বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া ভারতের জেলাগুলি। সুত্র মতে উত্তরবঙ্গের কুচবিহার ,জলপাইগুড়ি বা শিলিগুড়ি সীমান্তে কড়াকড়ি থাকলে পাচারকারীরা ভিন্ন পথ হিসাবে ভারতের মালদহ,উত্তর ও দক্ষিন দিনাজপুরের সীমান্ত ব্যবহার করছে। শুক্রবার(৬ ডিসেম্বর) বেলা আড়াইটা হতে মালদহে দুই দেশের উত্তরবঙ্গের ভারতের ছয় জেলা ও বাংলাদেশের ৯ জেলা সহ ১৫ জেলার ডিসি ও ডিএম পর্যায়ে দ্বি-পাক্ষিক সম্মেলনের আলোচনায় সেখানেই মাদক ট্যাবলেট ইয়াবা পাচারের রুট হিসেবে ভারতের মালদহ সহ লাগোয়া সীমান্ত জেলা ব্যবহারের কথা উঠে আসে। যা ভারতীয় বিভিন্ন মিডিয়ায় বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। পশ্চিমবাংলার দৈনিক বর্তমান পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে মালদহের জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র বলেন, এদিন বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আমাদের বৈঠকে একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তার মধ্যে সীমান্ত দিয়ে মাদক পাচারের বিষয়টিও রয়েছে। এদিনের আলোচনা সংক্রান্ত বিস্তারিত রিপোর্ট আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপরে কাছে পাঠিয়ে দেব।মালদহের পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, সীমান্ত দিয়ে মাদক পাচার নিয়ে আমরা সবসময়ই সতর্ক রয়েছি। নজরদারি চলে। এদিনের বৈঠকে মাদক পাচার নিয়ে কথা হয়েছে। আমরা আরও সতর্ক থাকব। সেইসঙ্গে এব্যাপারে বিস্তারিত রিপোর্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপরে কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। বাংলাদেশের চাঁপাই নবাবগঞ্জ, নওগাঁ, জয়পুরহাট, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, নীলফামারী, লালমনিরহাট এবং কুড়িগ্রাম জেলার প্রশাসন ও পুলিশের কর্মকর্তারা এদিনের বৈঠকে যোগ দেন। সেইসঙ্গে মালদহ ছাড়াও এরাজ্যের কোচবিহার, উত্তর ও দণি দিনাজপুর, দার্জিলিং এবং জলপাইগুড়ির প্রশাসনিক কর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। সূত্রের খবর, এদিন বৈঠকে বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা মাদক ট্যাবলেট ইয়াবা পাচারের প্রসঙ্গ তোলেন। জানা গিয়েছে, এই ইয়াবা ট্যাবলেট এদেশে ঢুকছে মায়ানমার থেকে। তারপর মণিপুর সহ উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলি হয়ে সেই ট্যাবলেট ঢুকছে উত্তরবঙ্গে। বিভিন্ন জেলা ঘুরে সেসব মাদক ট্যাবলেট একাধিকবার হাতবদল হয়ে সীমান্ত পেরিয়ে চলে যাচ্ছে প্রতিবেশী দেশে। উত্তরবঙ্গের প্রায় সব জেলার সঙ্গেই বাংলাদেশের সীমানা থাকলেও ইয়াবা পাচারকারীদের পছন্দের তালিকায় মালদহের নাম উপর দিকেই রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ওই খবরে আরো বলা হয় আগে গাঁজা পাচারের রমরমা দুশ্চিন্তায় ফেলেছিল প্রশাসন ও পুলিশকে। এখন সেই জায়গাটাই নিয়ে নিয়েছে এই ইয়াবা ট্যাবলেট। সীমান্ত দিয়ে কীভাবে এই ইয়াবার পাচার বন্ধ করা যায়, তা নিয়ে এদিনের বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। বর্তমান পত্রিকায় আরো বলা হয়, বাংলাদেশে এই মাদক ট্যাবলেট বেশি পরিচিত লাল বা গোলাপি ট্যাবলেট নামে। সেদেশের যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়েছে এই মাদকের ব্যবহার। ২০০০ সাল নাগাদ বাংলাদেশে এই ইয়াবা ট্যাবলেটের প্রচলন শুরু হয়। ক্রমশ মাদক ব্যবহারকারীদের মধ্যে তার জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে। ইয়াবার রমারমা ঠেকাতে ইতিমধ্যেই সেদেশে কড়া পদপে নিয়েছে সেদেশের প্রশাসন ও পুলিশ। এবার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে যাতে ইয়াবা সেদেশে আর ঢুকতেই না পারে সেজন্য এদিন দুদেশের প্রতিনিধিদের বৈঠকে মাদক পাচারের প্রসঙ্গ তোলা হয়েছে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। ওই খবরে প্রকাশ করা হয় চলতি বছরের নবেম্বরের মাঝামাঝি মালদহের ইংলিশবাজার শহরের একটি হোটেল থেকে প্রায় ৬০ ল টাকার ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে পুলিশ। সেই সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয় সাত জনকে। ধৃতদের মধ্যে একজন বাংলাদেশের বাসিন্দা ছিল। আরও একজন ছিল মণিপুরের বাসিন্দা। খবরে বলা হয় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘ সীমান্ত। এই আন্তর্জাতিক সীমান্তের একটা বড় অংশ ভারতের পশ্চিম ও উত্তরবঙ্গের সঙ্গে রয়েছে। ওই দীর্ঘ সীমান্তের সর্বত্র কাঁটাতারের বেড়া নেই। ফলে মাদকের পাশাপাশি সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে জালনোট, ও গরু পাচার হয়ে থাকে। এমনিতেই আফিমের আঠা, ব্রাউন সুগার সহ মাদক পাচার নিয়ে দুষ্কৃতীদের বাড়বাড়ন্তে সতর্ক থাকতে হয় মালদহের পুলিশকে। তার উপর সেই পাচারের তালিকায় যুক্ত হয়েছে ইয়াবা ট্যাবলেটের নামও। নদীর ভাঙনে সরছে সীমান্ত রেখা, নতুন করে জড়িপের প্রস্তাবঃ- নদী ভাঙনের জেরে সরে যাচ্ছে সীমান্ত। এতে ঠিক নেই সীমানা রেখাও। নদী ভাঙ্গনের কারনে ভারতও দিতে পারছেনা কাঁটাতারের বেড়াও। এতে বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্ত রক্ষীদের সমস্যা হচ্ছে সীমান্ত পাহাড়ায়। ফলে বাড়ছে ভুলবশত সীমানা লঙ্ঘনের ঘটনা। গতকাল শুক্রবার এই সমস্যার কথা উঠে আসে ভারত ও বাংলাদেশের ডিসি-ডিএম দ্বিপাক্ষিক প্রশাসনিক সম্মেলনে। এদিন বিকেলে ভারতের মালদহ কালেক্টরেটের কনফারেন্স হলে সীমানা লাগোয়া উত্তরবঙ্গের দুই দেশের ১৫টি জেলার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপাররা বৈঠকে মিলিত হন। সেখানে অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে সীমানা সংক্রান্ত বিতর্কের বিষয়টিও ওঠে। বিতর্ক মেটাতে সীমানা জড়িপ সহ মাফযোগ করার প্রস্তাবনা নিয়েও অলোচনা হয়। এ ছাড়া বৈঠকে মাদকের পাশাপাশি জাল নোট ও গোরু পাচারের বিষয়টিও ওঠে। সেইসঙ্গে এদিন দুদেশের মধ্যে বন্দি প্রত্যার্পন নিয়েও আলোচনা করা হয়। এদিন সামগ্রিকভাবে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশেই আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ভারতীয় প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে থাকা মালদহের জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র গণমাধ্যমকে বলেন, অন্যান্য সমস্যার সঙ্গে দুই দেশের সীমান্তে নদী ভাঙন নিয়ে এদিন আলোচনা হয়েছে। এদিনের বৈঠকে আলোচিত বিষয় নিয়ে দু-একদিনের মধ্যে আমরা একটি রিপোর্ট তৈরি করব। তা উপরমহলে পাঠানো হবে। তার আগে বিস্তারিত বলা সম্ভব নয়। অপর দিকে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে থাকা জয়পুরহাটের জেলা প্রশাসক মহম্মদ জাকির হোসেন গনমাধ্যমকে বলেন, এদিনের বৈঠকে সীমান্তবর্তী জেলাগুলির দ্বিপাকি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকের রেজোলিউশন সরকারের কাছে জমা দেয়া হবে। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা প্রশাসনিকভাবে বাস্তবায়ন করবো। সম্মেলনে ভারতের সীমান্তবর্তী ৬ জেলা মালদহ , কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, দণি দিনাজপুর, দার্জিলিং এবং জলপাইগুড়ির ডিএম ও পুলিশ সুপার, কর্মকর্তারা যোগ দেন। অন্যদিকে, বাংলাদেশের উত্তরঞ্চলের ৯ জেলা নীলফামারী,পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর,চাঁপাই নবাবগঞ্জ, নওগাঁ, জয়পুরহাট, লালমণির হাট এবং কুড়িগ্রাম জেলার প্রশাসন ও পুলিশ সুপারগন বৈঠকে অংশ নেন। এ ছাড়া ভারতের সীমান্তরী বাহিনী (বিএসএফ) এবং বাংলাদেশের বর্ডার গার্ডের (বিজিবি) আধিকারিকরাও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। জানা যায়, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। ওই সীমান্তের একটা বড় অংশ দুই দেশেই রয়েছে। আছে স্থল সীমান্তের পাশাপাশি দীর্ঘ নদী সীমান্ত। দুই দেশের মধ্য দিয়ে একাদিক নদী বয়ে গিয়েছে। বেশিরভাগ নদী পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার পর বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। ওইসব নদীগুলির মধ্যে তিস্তা, পদ্মা, বক্ষ্মপুত্র, গঙ্গা ও মহানন্দা অন্যতম। দুই দেশের উত্তর প্রান্তের জেলাগুলিতে একাধিক খরস্রোতা নদী-নালাও একইভাবে প্রবাহিত হয়েছে। ওইসব নদীর স্রোতে ভাঙন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। যার জেরে সীমান্ত সরে যায়। ফলে সীমান্তরী বাহিনী (বিএসএফ) এবং বাংলাদেশের বর্ডার গার্ডের (বিজিবি) জওয়ানদের সমস্যা হয়। এদিনের বৈঠক সুত্র মতে জানা যায়, নদীর এক পাড়ে য় এবং অন্য পাড়ে সঞ্চয় হয়। ফলে একদিকের জমি ভাঙনের গ্রাসে চলে যায়। অন্যদিকে, নতুন নতুন চর জেগে ওঠে। বহু জায়গায় নদীর প্রবাহ দুই দেশকে ভাগ করেছে। ফলে সেখানে সীমানা ক্রমশ একদিক থেকে অন্যদিকে সরে সরে যাচ্ছে। বিষয়টি এদিনের আলোচনায় ওঠে। বিষয়টি নি®পত্তির জন্য দুই দেশের প্রতিনিধিরাই প্রস্তাবনা গ্রহণ করেন। বৈঠক মতে সীমান্তে মাপযোগ করার ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপরে কাছে আবেদন জমা দেওয়া হবে। সীমান্ত মাপার জন্য বিশেষ বিভাগ রয়েছে। দুই দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সবুজ সঙ্কেত পেলে তারা ওই কাজ করবে।

মন্তব্য করুন


 

Link copied