তিনি বলেন, আমি বিশেষ সূত্রে জেনেছি, হুসেইন মুহাম্মাদ এরশাদকে চিকিৎসার কথা বলে বিদেশে পাঠিয়ে দিয়ে রওশন এরশাদকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান করা হচ্ছে।
এদিকে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার গঠন, বিএনপি কারাবন্দি নেতাদের মুক্তি দাবি, সকল রাজনৈতিক দলগুলোর অফিসের সামনে থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের প্রত্যাহার ও আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে মুক্তিসহ পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছেন কাজী জাফর আহমদ।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির কাজী জাফর অংশের মহাসচিব গোলম মসিহ, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. টিআইএম ফজলে রাব্বি এমপি, এইচএম গোলাম রেজা এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য নবাব আলী আব্বাস খান এমপি, বিগ্রে. (অব.) কাজী মাহমুদ হাসান, মোস্তাফা জামাল হায়দার, এসএমএম আলম, জাতীয় শ্রমিক পার্টির আনোয়ারা বেগম।
এদিকে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে কাজী জাফর আহমদের জাতীয় পার্টির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা সাংবাদিক শওকত মাহমুদ।
এর আগের খবরে বলা হয়েছে, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী রওশন এরশাদকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করে নির্বাচনে যাওয়া পরিকল্পনা প্রায় পাকা করা হয়েছে ভেতরে ভেতরে। স্বাস্থ্যগত কারন দেখিয়ে দলের বর্তমান চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদকে দেশের বাইরে সিঙ্গাপুরে পাঠানোর ব্যাপারে দলের সিনিয়র নেতারা একমত হয়েছে বলে জানা গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয়ার পর থেকে সরকারের সঙ্গে বিভিন্ন পর্যায়ে জাতীয় পার্টির নেতাদের দেনদরবার চলছে এবং তা ইতিবাচকের দিকে যাচেছ। বাজারে এ নিয়ে নানা গুজবও রয়েছে। প্রকাশ্যে এরশাদ একরকম কথা বললেও তলে তলে নানা দরকষাকষি চলছে বলে বিভিন্ন পর্যায়ে কথা বেল জানা গেছে। তবে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির কোনো নেতাই প্রকাশ্যে এ নিয়ে মুখ খুলছেন না।
জাতীয় পার্টির কয়েকজন নেতা বলেছেন, দলের চেয়ারম্যান এরশাদ কয়েক দিন ধরে নানা রকম কথা বলছেন। এতে দলের ক্ষতি হচ্ছে। দল ও দলের নেতাকর্মীদের বাঁচাতে তাকে সিঙ্গাপুরে পাঠানোর বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। নির্বাচনে আসার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে এরশাদের ওপর ভীষণ চাপ রয়েছে।
সূত্র আরো জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার থেকে এ প্রস্তাব নিয়ে এরশাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা। এতে বলা হয়েছে, রাওশনকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করার বিষয়ে এরশাদের সঙ্গে নেতাদের আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে এরশাদও একমত হয়েছেন। এরশাদই এ পদে রওশনকে নিয়োগ দিয়ে বিদেশে যাবেন।
জানা গেছে, জাতীয় পার্টির তিন মন্ত্রী এবিএম রুহুল আমীন হাওলাদার, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও মুজিবুল হক চুন্নু, জিয়াউদ্দিন বাবলু এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে রয়েছেন।