ডেস্ক: শৈত্যপ্রবাহের সঙ্গে হিমেল বাতাস, তার উপর আবার সূর্যের দেখা নেই। সবমিলিয়ে জেঁকে বসেছে শীত। কনকনে শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ। শীতজনিতে রোগে ভিড় বাড়ছে হাসপাতালগুলোতে।
হিমালয় থেকে বয়ে আসা হিমেল হাওয়ায় কাঁপছে পঞ্চগড়। তীব্র শীতে বিপর্যস্ত উত্তরের জনপদ। আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে মঙ্গলবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে তেতুলিয়ায় ৯ দশমিক ২।
রংপুর বিভাগে প্রচণ্ড শৈত্য প্রবাহ বইছে। সেই সঙ্গে ঘন কুয়াশা। হেড লাইট জ্বালিয়ে চলছে গাড়ি।
দিনাজপুরে কনকনে শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ছিন্নমুল মানুষ। গত দু’দিন ধরে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। তীব্র শীতের কারণে খেটে খাওয়া মানুষ পড়েছে চরম বিপাকে।
হাড় কাঁপানো শীতে গাইবান্ধার জন জীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। কুয়াশা বেশি থাকায় দিনের বেলায় হেড লাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন। দোকানগুলোতে বাড়ছে গরম কাপড় কেনার ভিড়।
রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানান, এ বিভাগের ৮ জেলায় সাড়ে তিন হাজার মানুষ নিউমোনিয়া- শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত ৯ হাজারেও বেশি যার অধিকাংশই শিশু। এরমধ্যে দুজন মারা গেছে বলে জানান তিনি।
রংপুর আবহাওয়া অফিস জানায়, জানুয়ারী মাসের প্রথম সপ্তাহে আরো একটি শৈত্য প্রবাহ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।