নীলফামারী প্রতিনিধি ২ জানুয়ারি॥ নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলা শহরে প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকায় রেললাইনের দুই পাশে গড়ে উঠা দুই শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগ। আজ বৃহস্পতিবার(২ জানুয়ারি/২০২০) সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত বাংলাদেশ রেলওয়ের সৈয়দপুরের ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পথ) মো. সুলতান মৃধা নেতৃত্বে সৈয়দপুর-পার্বতীপুর রেলওয়ে লাইনের সৈয়দপুর শহরের দুই নম্বর রেলগেট থেকে হাতিখানা বানিয়াপাড়া পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ওই সব কাঁচা-পাকা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
অভিযানে সময় রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলীর দপ্তরের লোকজন মাথায় লাল ফিতা বেঁধে উচ্ছেদ অভিযান চালান। এসময় সৈয়দপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল্লাহ-আল মামুনসহ বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
সৈয়দপুর রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পথ) মো. সুলতান মৃধা জানান, রেললাইনের দুই পাশ ঘেঁষে গড়ে উঠা অবৈধ কাঁচা-পাকা স্থাপনার কারণে স্বাভাবিক ট্রেন চলাচল যেমন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছিল। এসব অবৈধ স্থাপনার মধ্যে রয়েছে হোটেল-রেস্তোরাঁ, বেডিং দোকান, কামার,স্বর্ণকার,মাংস, ট্রাঙ্ক-বালতির কারখানা, কাগজের বাক্স তৈরি কারখানা, টেইলার্স, আসবাবপত্র তৈরি কারখানা প্রভূতি। এতে করে মারাত্মক ট্রেন দুর্ঘটনার শঙ্কাও ছিল। এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে তিনি ২০১৯ সালের ৩০ জুন পাকশী রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে একটি পত্র দেন। কিন্তু গত পাঁচ থেকে ছয় মাসেও এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে কার্যকরি কোনো পদপে গ্রহণ করা হয়নি। পরবর্তীতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপরে নির্দেশে আজ বৃহ¯পতিবার সৈয়দপুর রেলওয়ে থানা পুলিশের সহযোগিতায় রেললাইনের দুই পাশের দুই শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
তবে অনেকের অভিযোগ উচ্ছেদ অভিযানে প্রাক্কালে রেললাইনের দুই পাশের কাঁচা-পাকা অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেওয়া হয় ঠিকই। কিন্তু পিকআপ স্ট্যান্ড সরিয়ে নেওয়া হয়নি অদ্যাবধি।