তবে পরশ মনি এখন থেকে বাইসাইকেলে চেপেই কলেজে আসতে পারবেন। কারণ সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের কর্পোরেট সোস্যাল রেসপন্সিবিলিটির(সিএসআর) আওতায় পরশ মনির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে একটি চকচকে নতুন বাইসাইকেল। শুধু তিনি নন, তার মতো গতকাল শনিবার দুপুরে পাটগ্রাম সরকারি জসমুদ্দিন কাজী আব্দুল গণি কলেজচত্বরসহ উপজেলার তিনটি স্থানে শ খানেক নারী শিক্ষার্থীর হাতে বিনামূল্যে বাইসাইকেল তুলে দেওয়া হয়েছে। একই সাথে শিক্ষার্থীদের মাঝে কম্বলও বিতরণ করা হয়েছে।
শনিবার দুপুরে কলেজ চত্বরে আয়োজিত বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সোনালী ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আতাউর রহমান প্রধান। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পাটগ্রাম উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রুহুল আমীন বাবুল, পাটগ্রাম উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপক কুমার দেব শর্মা, ব্যাংকের রংপুর বিভাগীয় জেনারেল ম্যানেজার মো. আলী মর্তুজা, পাটগ্রাম থানার ওসি সুমন কুমার মহন্ত , এজিএম আব্দুল বারেক চৌধুরী ও সৈয়দ তৌহিদুল হক।
ভেরভেড়িরহাট(জগতবেড়) গ্রামের কলেজ শিক্ষার্থী উম্মে হালিমা বাইসাইকেল পেয়ে বলেন, ‘আমার বাবা ক্ষুদ্র কৃষক। তাই একটি সাইকেলের খুব প্রয়োজন ছিল। সেই প্রয়োজন আজ মিটে যাওয়ায় এখন নিয়মিত কলেজে আসতে পারবো’।
সোনালী ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আতাউর রহমান প্রধান বলেন, ‘অপেক্ষাকৃত দূরে বাড়ি, মেধাবী ও গরীব এই তিন দিক বিবেচনা করে বাইসাইকেলের জন্য শিক্ষার্থী নির্বাচিত করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও নারী শিক্ষা এগিয়ে নিতে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে’।