আর্কাইভ  বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪ ● ১৪ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

আন্তর্জাতিক যোগাযোগের গেটওয়ে হবে কুড়িগ্রাম

আন্তর্জাতিক যোগাযোগের গেটওয়ে হবে কুড়িগ্রাম

 width=
 
শিরোনাম: কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা       রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা       ২৯ রমজান কি অফিস খোলা?       আজ ঐতিহাসিক রংপুর ক্যান্টনমেন্ট ঘেরাও দিবস       লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ হস্তান্তর      

 width=
 

কিশোরীগঞ্জে চাল সংগ্রহ অভিযানে অনিয়ম

বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২০, বিকাল ০৬:২৭

শামীম হোসেন বাবু, কিশোরীগঞ্জ(নীলফামারী) প্রতিনিধি ১৫ জানুয়ারি॥ নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ উপজেলায় চলতি আমন মৌসুমে সরকারের চাল সংগ্রহ অভিযানে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সংগ্রহ অভিযান উদ্ভোধনের দিনেই চুক্তিবদ্ধ মিল চাতাল মালিকরা চাতালে চাল উৎপাদন না করে বাইরে থেকে নিম্নমানের চাল এনে তা গুদামজান করা হচ্ছে। আর এ কাজে তাদের সহায়তা করছেন উপজেলা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা মহসীন আলী। সরকারী নীতিমালা অনুযায়ী চুক্তিবদ্ধ মিল মালিকদের মাধ্যমে স্থানীয়ভাবে ধান সংগ্রহ করে সেই ধান থেকে চাল উৎপাদন করে সরকারী গোডাউনে সরবরাহ করার কথা। কিন্তু মিল চাতাল মালিকরা তা না করে উপজেলা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা মহসীন আলীকে ম্যানেজ করে দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলার মাহবুব অটো হাস্কিং মিল থেকে ট্রাকে করে চাল এনে চুক্তিবদ্ধ মিলারদের নামে গুদামজাত করছেন। এছাড়াও মান পরীক্ষা করে প্রত্যায়নসহ খাদ্য গুদামে চাল সংগ্রহের বিধান থাকলেও তা করা হয়নি। ফলে এ উপজেলার কৃষকরা সরকারের কাছ থেকে ধান চাল বিক্রির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। লাভবান হচ্ছে সরকারের অসাধু কর্মকর্তাসহ গুটিকয়েক মানুষ। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে কিশোরীগঞ্জ উপজেলায় সরকারীভাবে চুক্তিবদ্ধ ৩০টি মিল চাতাল মালিকদের সাথে নিজ চাতাল হতে উৎপাদন সাপেক্ষে ৪৪৬ মেট্রিক চাল সংগ্রহের বরাদ্দ প্রদান করা হয়। ৩৬ টাকা কেজি দরে গত ১২ জানুয়ারী থেকে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত চাল সংগ্রহ অভিযান চলমান থাকবে। কিন্তু মিল চাতাল মালিকরা সরকারের চুক্তি ভঙ্গ করে স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে উদ্ধোধনের দিন থেকে বাইরে থেকে চাল এনে নিজ নামে গুদামজান করছে। উপজেলা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তার কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, চাল সংগ্রহের উদ্ধোধনের দিনেই বাইরে থেকে ট্রাকে করে চাল এনে সিয়াম রাইস মিলের নামে ৫.০৪০ মেট্রিকটন, তারিক রাইস মিলের নামে ১০.২০০ মেট্রিকটন, ফিরোজ রাইস মিলের নামে ১০.২০০ মেট্রিকটন, জাহাঙ্গীর রাইসমিলের নামে ১৫.৯৬০ মেট্রিকটন। এবং ১৩ জানয়ারী ময়না রাইস মিলের নামে ১০.৯২০ মেট্রিকটন, এজেএস রাইস মিলের নামে ৫.১০০ মেট্রিকটন, সিয়াম রাইস মিলের নামে ১২.৬০০ মেট্রিকটন, জাহাঙ্গীর রাইস মিলের নামে ৮.৪০০ মেট্রিকটন এবং ১৪ জানয়ারী সর্বশেষ ২১ টন মাল গুদামজাত করা হয়েছে। আজ বুধবার(১৫ জানুয়ারি/২০২০) সরেজমিনে চুক্তিবদ্ধ মিল চাতাল তারেক রাইস মিল, এজেএস রাইস মিল, সিয়াম রাইস মিল ও ময়না রাইস মিলে গিয়ে দেখা যায় সবকটি মিলের চুলা দীর্ঘদিন থেকে বন্ধ। চাতালে নিযুক্ত শ্রমিকরা বেকার বসে থেকে অলস সময় কাটাচ্ছে। তবে কয়েকটি চাতালে চলতি আমন ধান বস্তায় প্যাকেট করা হচ্ছে। এসময় কয়েকজন শ্রমিক জানান, বর্তমানে মিল চাতাল মালিকরা লটারীর মাধ্যমে নির্বাচিত কৃষকদের ভুর্তকি কার্ড কিনে নিয়েছেন। ওই কৃষকদের নামে ধান গুডাউনে ঢুকানো হচ্ছে। উপজেলা মিল চাতাল মালিক সমিতির সভাপতি সহিদুল ইসলাম বাহির থেকে চাল আনার কথা স্বীকার করে বলেন, আমাদের মিল থেকে চাল উৎপাদন করলে চালের মান ভাল হয়না তাই বাহির থেকে নিয়ে আসি। উপজেলা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা মহসীন আলী বলেন, কিশোরীগঞ্জ উপজেলায় সটার মেশিন না থাকার কারনে মিলাররা বাইরে থেকে চাল সটার করে নিয়ে আসছে। এটা অনিয়মের মধ্যে পরেনা। উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা অতিরিক্ত দায়িত্ব মাহমুদ হাসান বলেন, নীতিমালা অনুযায়ী ধান চাল সংগ্রহ অভিযান চলমান রয়েছে। এ বিষয়ে জেলা খাদ্য কর্মকর্তা কাজী সাইফুদ্দিন ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তার সাথে কথা বলে ব্যাবস্থা নেব।

মন্তব্য করুন


 

Link copied