বিএনপি মহাসচিব বলেন, “আমরা এই নির্বাচনকে সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করছি। এর প্রতিবাদে রোববার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করা হবে।”
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জনকারী বিএনপি ওই নির্বাচনের প্রথম বর্ষপূর্তি ঘিরে ২০১৫ সালের শুরু থেকে টানা তিন মাস হরতাল-অবরোধ করে। এরপর এই প্রথম হরতালের ডাক দিল তারা।
পাঁচ বছর আগের ওই আন্দোলনের সময় বাসে আগুন ও পেট্রোল বোমা নিক্ষেপসহ নাশকতার নানা ঘটনায় দেড় শতাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটে।
ওই আন্দোলনে গিয়ে বিএনপির ‘ক্ষতি’ হয়েছিল স্বীকার করে মির্জা ফখরুল কয়েক দিন আগেই বলেছিলেন, সেই ক্ষত সারাতে এখনও তাদের বেগ পেতে হচ্ছে। তাই হঠাৎ করে হঠকারী কোনো সিদ্ধান্ত নিতে চান না তিনি।
গত ১৭ জানুয়ারি এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছিলেন, “আমরা আজকে হঠাৎ করে হঠকারী কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে চাই না। আমাদের অভিজ্ঞতা আছে ২০১৪ সালের নির্বাচনের সময়ে এবং ২০১৫ সালের আন্দোলনের সময়ে আমাদের যে ক্ষতি হয়েছে, সেই ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে এখনও আমাদের অনেক বেগ পেতে হচ্ছে।”
এই উপলব্ধি প্রকাশের পর দুই সপ্তাহ না হতেই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অনিয়ম-কারচুপির অভিযোগ তুলে হরতালের ডাক দিল বিএনপি।