আর্কাইভ  শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ● ৬ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: পলাশবাড়ীতে আসামির ছুরিকাঘাতে বাদীর মৃত্যু, গ্রেফতার ১       মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের সন্তান-স্বজনের ভোটে না দাঁড়ানোর নির্দেশ       ভোজ্যতেলের দাম বাড়ল, খোলা তেলে সুখবর       বিএনপি নেতা সোহেলের নিঃশর্ত মুক্তি দাবিতে রংপুরে  মানববন্ধন ও সমাবেশ        খরার ঝুঁকিতে রংপুর অঞ্চল      

 width=
 

নীলফামারীতে ভুল প্রশ্নপত্রের কবলে এসএসসির ৯৮ জন পরীক্ষাথী॥ফলাফল নিয়ে শংকা

সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, বিকাল ০৭:২৮

নীলফামারী প্রতিনিধি ৩ ফেব্রুয়ারি॥ ভুল প্রশ্নপত্রের কবলে পড়েছে নীলফামারীর রাবেয়া বালিকা বিদ্যানিকেতন কেন্দ্রে ৯৮ জন এসএসসি পরীক্ষার্থী। পরিস্থিতি সামাল দিতে অতিরিক্ত আড়াই ঘন্টার বেশী সময় দিয়ে তাদের পুনরায় পরীক্ষা গ্রহন করা হয়েছে। আজ সোমবার(৩ ফেব্রুয়ারি/২০২০) দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের অধিনে বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষায় এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, জেলা শহরের রাবেয়া বালিকা বিদ্যা নিকেতন বিদ্যালয় কেন্দ্রে মোট ৬২০জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে ২০১৮ সালের সিলেবাস অনুযায়ী পরীক্ষার্থী ছিল শুধু মাত্র ১জন। ওই একজন পরীক্ষার্থীর জন্য বাংলা প্রথম পত্রে ১২০টি প্রশ্নপত্র পান কেন্দ্র সচিব। ৯৮ জন পরীক্ষার্থী জানায়, আমরা যে খাতায় ২০১৮ সালের প্রশ্নে পরীক্ষা দিচ্ছিলাম সেটিতেই আমাদের বাড়তি পেজ লাগিয়ে দিয়ে ২০২০ সালের প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। পুরানো সিলেবাসের উত্তরগুলো কেন্দ্র সচিব লাল কালি দিয়ে কেটে দেন। এতে আমরা ফলাফলে নিয়ে শংকা প্রকাশ করছি। জানা যায়, কেন্দ্রের ৮ ও ৫ নম্বর কক্ষে ২০২০ সালের পরীক্ষার্থীদের কাছে ২০১৮ সালের সিলেবাস অনুযায়ী প্রশ্নপত্র ভুলবশত ৯৮ জনের কাছে সরবরাহ করা হয়। পরীক্ষা চলাকালীন ১ঘন্টা পরে ওই কক্ষের পরীক্ষার্থী নীলফামারী কালেক্টরেট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের বিজ্ঞান শাখার শিক্ষার্থী সেলিম রেজা বিষয়টি ধরতে পারেন। সে ওই কক্ষে দায়িত্ব পালনকারী শিক্ষককে অবগত করলে তারা তাৎক্ষনিকভাবে ৯৮জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে প্রশ্নপত্র গুলি ফেরত নিয়ে নেয়। পরীক্ষা শেষে শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বললে জেলার নগর দারোয়ানী স্কুল এন্ড কলেজে বিজ্ঞান শাখার শিক্ষার্থী মরিয়ম আক্তার জানান, নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন ২০২০ সালের ছিল। শুধু সৃজনশীল প্রশ্নপত্রটি ভুল ছিল। ১ঘন্টা অতিক্রম করার পর আমরা ২০২০ সালের প্রশ্নপত্র দিয়ে পরীক্ষা দেই। তবে এতে আমাদের শারীরিক পরিশ্রম বেশি হয়েছে। কালেক্টরেট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের বিজ্ঞান শাখার শিক্ষার্থী মঞ্জুরুল ইসলাম মুন্না জানান, আজ আমাদের এসএসসি পরীক্ষা শুরু। আজ বাংলা ১ম পত্র আগামীকাল ২য় পত্র। আজ প্রশ্নপত্র ভুলের কারণে পুরানো সিলেবাসের উত্তরগুলো দেই। পরে বাড়তি পেজ লাগিয়ে ২০২০ সালের প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দেয়া হয়। তবে যেই শিক্ষক আমাদের খাতাগুলি দেখবেন তিনি কি দেখে আমাদের নম্বর দিবে। একটি পরীক্ষায় উত্তরপত্র খাতাটি নির্ভূর সৌন্দর্য গুরুত্বপূর্ণ। ক্ষোভ প্রকাশ করে অভিভাবক মাসুদ রানা বলেন, ছাত্র-ছাত্রীরা তো ভুল করবেই। তাদের ভুল সংশোধনের কাজ শিক্ষকদের। কিন্তু এই কেন্দ্রে যারা দায়িত্বে রয়েছেন তারা প্রশ্নপত্র যাছাই না করে তাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে নিয়ে গেলো কেন্দ্র সচিব। তিনি বলেন, অনেক শিক্ষার্থী আছে যারা ১০০ নম্বরের উত্তর করতে পারে নি। পরীক্ষা চলাকালিন বা তার আগে যদি তারা এই ভুলটি সংশোধন করতে তাহলে হয়তো শিক্ষার্থীরা হয়রানির শিকার হতো না। আগামীকাল বাংলা ২য় পত্র পরীক্ষা, আজকে তারা মানসিক ভাবে ভেঙ্গে গিয়েছে তাহলে কালকের জন্য কিভাবে প্রস্তুতি নিবে। এবং আজকের ফলাফল নিয়ে আমার মতো অনেক অভিভাবক শংকা প্রকাশ করছি এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও প্রশাসনকে বিষয়টি দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আহবান জানাই। এ ব্যাপারে ওই কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব ও প্রধান শিক্ষক মহাফিজুর রহমান খান জানান, ২০২০ সালের সিলেবাস অনুযায়ী মোট ৬১৯জন এবং ২০১৮ সালের পুরনো সিলেবাস অনুযায়ী ১জন সহ মোট ৬২০জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে তার কেন্দ্রে। ২০২০ সালের ৬১৯ জন পরীক্ষার্থী বিপরীতে ১হাজার ২০টি প্রশ্নপত্র এবং ২০১৮ সালের পুরনো সিলেবাসের ১জন পরীক্ষার্থীর জন্য ১২০টি প্রশ্নপত্র বরাদ্দ পাওয়া যায়। জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, বিষয়টি নিয়ে বোর্ডের সাথে কথা বলে পরীক্ষার নির্ধারিত সময়ের ১ ঘণ্টা ২৫ মিনিট পর ২০২০ সালের প্রশ্নপত্র দিয়ে পরীক্ষা নেয়া হয় তাদের। তিনি জানান বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে কার ভুলে এমন ঘটনাটি ঘটেছে। জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের সূত্র মতে, নীলফামারী জেলায় ১৯ হাজার ৭৬৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে অংশ নেয় ১৯ হাজার ৭১০ জন, অনুপস্থিত ছিলো ৫৪ জন।

মন্তব্য করুন


 

Link copied