স্টাফ রিপোর্টার: রংপুরের কারমাইকেল কলেজিয়েট স্কুল ও কলেজ অধ্যক্ষ মোঃ আব্দুল ওয়াহেদ মিয়া শনিবার সকালে তার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে গত কয়েকদিনের ঘটে যাওয়া উদ্ভুত পরিস্থিতির জবাবসহ প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি সুনাম নষ্টকারীদের শাস্তির দাবি করেন। সেইসাথে তিনি পুরো বিষয়ের তদন্ত সাপেক্ষে ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কারমাইকেল কলেজিয়েট স্কুল ও কলেজ অধ্যক্ষ মোঃ আব্দুল ওয়াহেদ মিয়া। এসময় প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকমন্ডলী, গভর্ণিং বডির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করতে একটি স্বার্থন্বেষী মহল নানা অযুহাত সৃষ্টি করেছে এবং গণমাধ্যমকর্মীদের ভুল তথ্য পরিবেশন করছেন। এছাড়াও কতিপয় সংবাদকর্মী হলুদ সাংবাদিকতা করছেন। গত ৩ ফেব্রুয়ারী প্রতিষ্ঠান চলাকালীন এর ভিতরে প্রবেশ করেন ও বহিরাগতসহ তৈরি করা সাক্ষাতকার গ্রহণ করেন। বিষয়টি ৭১ টিভি সারাদিন প্রচার করে ও রাতে একাত্তর জার্নালে লাইভ আলোচনা করে। সংবাদে অতিরিক্ত কোচিং ফি না দেয়ায় তিনি শতাধিক ছাত্রছাত্রীকে মারধরের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, প্রকৃতপক্ষে কোচিং ফিসের কোন টাকা আদায় করা হয়নি। শিক্ষার্থীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে অতিরিক্ত ক্লাস, সাপ্তাহিক, মাসিক ও মডেল টেস্টের ফিস বাবদ বিজ্ঞান বিভাগে ১৭শ, মানবিক ও ব্যবসা শিক্ষা বিভাগে ১৬শ টাকা নেয়া হয় গত বছরের ডিসেম্বর মাসে। দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের চিঠি অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন কার্ড সংশোধন ও স্বাক্ষর প্রদানের জন্য প্রতিষ্ঠানের কলেজ শাখার শিক্ষকগণ তাদের দায়িত্বে থাকা শিক্ষার্থীদের ফোন করে প্রতিষ্ঠানে নিয়ে আসেন। শিক্ষাবোর্ড ৩ ফেব্রুয়ারী ভুল সংশোধন করে রেজিস্ট্রেশন জমা দিতে বলেছে। অথচ প্রচারিত সংবাদে যে ৪/৫ জন সাক্ষাতকার প্রদান করে তাদের মধ্যে একজন বহিরাগত। বাকিরা কেউ কেউ বিভিন্ন সময় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজের কারণে সতর্ক করায় ব্যক্তিগত ক্ষোভ থেকে এ ধরণের সাক্ষাতকার দিয়ে থাকতে পারে। ফরম ফিলাপ সম্পন্ন হয়েছে ডিসেম্বর মাসে আর সেই টাকা আদায়ের জন্য মারধরের ঘটনা ফেব্রুয়ারীতে বিষয়টি হাস্যকর। এছাড়াও ২ বছর পুর্বে ২০ জন শিক্ষার্থীর মাথা ন্যাড়া করার ঘটনায় অধ্যক্ষ দেশের বাইরে অবস্থান করেছিলেন। তিনি সংবাদ সম্মেলনে এসব ঘটে যাওয়া ঘটনার তদন্তসহ ন্যায় বিচার কামনা করেন।