নীলফামারী প্রতিনিধি ১৭ ফেব্রুয়ারি॥ নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ উপজেলার রনচন্ডি ইউনিয়নের দক্ষিন বাবলা গ্রামে বাকপ্রতিবন্ধী এক নারীকে(২৫) ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ওই গ্রামের মোফাজ উদ্দিন (৪০) ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করলে এলাকাবাসী পুলিশ সহায়তার জন্য ৯৯৯ নম্বরে কল দিলে ধর্ষক পালিয়ে যায়। পুলিশ গতকাল রবিবার(১৬ ফেব্রুয়ারি/২০২০) রাতে ঘটনাস্থলে গিয়ে ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে নীলফামারী সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে এসে ভর্তি করেছে। আজ সোমবার(১৭ ফেব্রুয়ারি/২০২০) এখানে তার ডাক্তারী পরীক্ষা করা হয়।
ধর্ষক মোফাজ উদ্দিন ওই গ্রামের মঙ্গলু মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় ধর্ষিতার ছোট ভাই মহসীন বাদী হয়ে কিশোরীগঞ্জ থানায় মামলা করেছে।
মামলা ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, মেয়েটির বাবা মা ঢাকায় তৈরী পোষাক কারখানায় শ্রমিকের কাজ করে। গ্রামের বাড়িতে মেয়েটি তার ভাই ও দাদী নাজিমন বেগম(৬৫) সহ থাকে। ঘটনার দিন রবিবার দুপুরে দেড়টার দিকে বাক প্রতিবন্ধী ওই নারী ধান শুকাচ্ছিল। এ সময় একই গ্রামের মোফাজ উদ্দিন তার ফাঁকা বাসায় মেয়েটিকে ঈশারায় ডেকে নিয়ে দিয়ে জোড়পূর্বক ধর্ষক করে। ঘটনাটি দেখতে পেয়ে মেয়েটির দাদী এলাকাবাসীকে খবর দেয়। এলাকাবাসী এলে ধর্ষক মোফাজ উদ্দিন ধর্ষনের ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে চেষ্টা চালায়। এ ভাবে সন্ধ্যা পর্যন্ত টালবাহানা চলতে থাকে। এলাকাবাসীদের মধ্যে জনৈক্য এক ব্যাক্তি পুলিশ সহায়ক ৯৯৯ নম্বরে কল দিলে কিশোরীগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। এ সময় ধর্ষক পালিয়ে যায়।
কিশোরীগঞ্জ থানার ওসি হারুন-আর রশীদ জানান, বাক প্রতিবন্ধী ওই নারীকে রাতে উদ্ধার করে ওই রাতেই নীলফামারী সদর আধুনিক হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার সোমবার ডাক্তারী পরীক্ষা করা হয়েছে। আসামী পলাতক থাকায় তাকে গ্রেফতারের চেস্টা চলছে।