গত (১৯ ফেব্রæয়ারি) চিলমারী উপজেলা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা শামীম মিয়া চিলমারী উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের ডেমনারপাড়া এলাকার মহসিন আলীর ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১১ ফেব্রæয়ারি চাঁদার দাবিতে চিলমারী নৌবন্দরে অবস্থিত ভাসমান তেল ডিপো যমুনা অয়েল কোম্পানির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তফাজ্জল হককে অপহরণ করে ছাত্রলীগ নেতা শামীম ও তার সঙ্গীরা। এরপর তার কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। পরে তাকে আটকে রেখে ১ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায় করে ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর আরও ২ লাখ টাকা দিতে তফাজ্জল হককে চাপ দিয়ে আসছিল শামীম ও তার সঙ্গীরা।
আরও জানা যায়, যমুনা ডিপোতে অভ্যান্তরীণ সমস্যার সুযোগ নিয়ে বেশ কয়েকবার অর্থ হাতিয়ে নেয় ছাত্রলীগের এই চক্রটি। এরপর মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিতে অপহরণ করা হয় বলে জানা যায়।
এছাড়াও ডিপোতে অনৈতিক কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িতে থাকার অভিযোগে কোম্পানির অস্থায়ী সিকিউরিটি গার্ড রিফাজুল ইসলাম রিয়াদকে চাকরিচ্যুতির পর ঘাট সংলগ্ন শ্রমিকরা নানাভাবে তফাজ্জল হককে হয়রানি শুরু করে। এতে ইন্ধন দেয় কোম্পানির স্থায়ী জেনারেল ওয়ার্কার আবুল হোসেন ও অস্থায়ী সহকারী লতিফুর রহমান জুয়েল। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১১ ফেব্রæয়ারি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীমের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী তফাজ্জল হককে তুলে নিয়ে আটকে রাখে। সেখানে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করা হয়।