নীলফামারী প্রতিনিধি ২৩ ফেব্রুয়ারি॥ নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরের নিরাপত্তা কর্মীদের তোয়াক্কা না করে জোরপূর্বক প্রবেশের চেষ্টাকালে তিন যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় ওই যুবকদের সাথে বিমানবন্দরে কর্তব্যরত ৮-আর্মস পুলিশ ব্যাটেলিয়ন সদস্যদের সাথে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে একজন পুলিশ ব্যাটেলিয়নের সদস্য আহত হলে তাকে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করেন এপিবিএন সদস্যরা।
আটককৃতরা হলো সৈয়দপুর শহরের হাতিখানা এলাকার মোঃ শরীফের দুই ছেলে মো. ওমর আলী (২৫) ও হায়দার আলী (২২) এবং একই এলাকার মো. আলী হোসাইনের ছেলে মো. ইজাজ আহমেদ ওরফে রফিক।
সৈয়দপুর থানা পুলিশ জানায়, আজ রবিবার(২৩ ফেব্রুয়ারি/২০২০) সকাল সোয়া ১০টার সৈয়দপুর বিমানবন্দর প্রবেশের প্রধান ফটকে ৮-আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের কনস্টেবল মোহাম্মদ সেলিম, শহিদুল ইসলাম ও মনসুর রহমান নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছিলেন। এসময় তারা মোটরসাইকেলে দ্রুতগতিতে হেলমেটবিহীন অবস্থায় বিমানবন্দর প্রবেশের প্রধান ফটক দিয়ে বিমানবন্দরের ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করছিল। এ সময় সেখানে দায়িত্বরত পুলিশ কনস্টেবল সেলিম তাদের মোটরসাইকেলটি থামানোর জন্য সিগন্যাল দিলে ওই তিন যুবক পুলিশের সিগন্যাল অমান্য করে বিমানবন্দরে প্রবেশের চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশ কনস্টেবল সেলিম দৌঁড়ে বিমানবন্দর প্রবেশের প্রধান ফটক থেকে আনুমানিক ১৫ গজ ভেতরে গিয়ে মোটরসাইকেলটির সামনে দাঁড়ালে তারা মোটরসাইকেল থামাতে বাধ্য হয়। এরপর ওই তিন যুবক মোটরসাইকেল থেকে নেমে পুলিশ কনস্টেবল সেলিমকে অহেতুক অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এ সময় যুবকদের গালিগালাজের প্রতিবাদ জানালে এক পর্যায়ে যুবক ওমর আলী ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশ কনস্টেবল সেলিমের পরণে থাকা সরকারি পোষাকের কলার ধরে টানাহেঁচড়া করতে থাকে। এ সময় ওমরসহ অপর দুই যুবকও আর্মড পুলিশ সদস্য সেলিমের ওপর চড়াও হয়ে এলোপাাতড়ি কিল ঘুষি মারতে থাকে। এতে পুলিশ কনস্টেবল সেলিমের নাকের হাঁড় ভেঙ্গে যায় এবং তিনি গুরুতর রক্তাক্ত জখমপ্রাপ্ত হন। ঘটনাটি দেখলে সেখানে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য শহীদুল, মনসুর, আনসার সদস্য বর্মণ রায় সহ কর্মরত অন্যান্য পুলিশ ও আনসার সদস্যরা এগিয়ে এসে ওই তিন যুবককে আটক করে সৈয়দপুর থানায় খবর দেয়। তাৎক্ষনিক সেলিমকে উদ্ধার করে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার কনস্টেবল নং-৮৩০৩।
সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল হাসনাত খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই তিন যুবককে থানায় নিয়ে আসা হয়। এ ঘটনায় ৮-আমর্ড পুলিশ ব্যাটানিয়নের সহকারি উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. লায়েকুজ্জামান বাদী হয়ে উল্লিখিতদের তিন জনের নামে সৈয়দপুর থানায় একটি মামলা করেছে। গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয় ও সাত দিনের রিমান্ডের জন্য আবেদন করা হয়েছে।