রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার অপরাধ শহিদুল্লাহ কাওসার জানান, রংপুর মহানগরীর উত্তম বেতার পাড়ায় রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের ওপর একটি লাশ দেখতে পায় টহল পুলিশ। খবর পেয়ে সেখানে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ক্রাইম জোন সিআইডি সহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা আসি।
তিনি জানান, সেখানে আসার পর সিআইডির ক্রাইম সিন এসে লাশের চতুঃপার্শ্বে সিআইডির কর্ডন করে রাখে। লাশের পড়নে কোন কাপড় ছিলনা। পাশের বিল্ডিং এর দেয়ালের পাশে ছিল ছোপ ছোপ রক্তের দাগ। স্যান্ডেল এবং পরিহিত শার্ট ছিল ২০ গজ দূরে।
তিনি আরও জানান, মেট্রোপলিটন পুলিশ, সিআইডিসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থা ইতোমধ্যেই এ ব্যাপারে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে। বিষয়টি পূর্বপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড নাকি দুর্ঘটনা সেটি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
এদিকে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন যুবককে হত্যা করার পর দুর্ঘটনা হিসেবে চালিয়ে দেয়ার জন্য মহা সড়কের ওপর লাশ ফেলে দেয়া হয়।
স্থানীয় শ্রমিক আজিজুল ইসলাম জানান, যুবকটি বিবস্ত্র অবস্থায় ছিল তার পরনের শার্ট ছিল ২০ গজ দূরে। দেয়ালের পাশে ছিল রক্ত। যদি দুর্ঘটনা হয় তাহলে তার শার্ট এবং রক্ত কেন দূরে দেয়ালের পাশে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী নজিবুর রহমান জানালেন, আমাদের ধারণা যুবকটিকে হত্যা করে পরিকল্পিতভাবে এখানে নিয়ে এসে ফেলে দেয়া হয়েছে, এমন ভাবে যাতে গাড়ি তার মাথার উপর দিয়ে যায় আর সে কারণেই যুবকের মাথা বিকৃত হয়ে গেছে মগজ অন্য জায়গায় চলে গেছে।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের হাজিরহাট থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, প্রয়োজনীয় তদন্ত কার্যক্রম শেষে লাশটি নিয়ে যাওয়া হবে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে।