আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: জমি রেজিস্ট্রি করে না দেয়ায় বাবাকে কবর দিতে ছেলের বাঁধা ॥ পুলিশের হস্তক্ষেপে দাফন সম্পন্ন       নীলফামারীতে স্বামীর প্রথম বিয়ের খবরে নববধূ দ্বিতীয় স্ত্রীর আত্মহত্যা ॥ স্বামী গ্রেপ্তার       রংপুরবাসীর জন্য সরকারি চাকরি, পদ ১৫৯       স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা      

 width=
 

প্রধানমন্ত্রী কঠোর ঘোষণা দিন অক্ষমদের বরখাস্ত করুন

সোমবার, ২৩ মার্চ ২০২০, দুপুর ১০:৪৮

পীর হাবিবুর রহমান

সমাজতান্ত্রিক চীন আজকের দুনিয়ায় অর্থনৈতিক ও সামরিক শক্তিতে ক্ষমতাধর হলেও আমার পছন্দের নয় কারণ সেখানে মত প্রকাশের অবাধ স্বাধীনতা নেই। মানুষের সকল গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করা এক মতাদর্শের একদলের শাসন। যদিও আজকের পৃথিবী কার্যত নির্বাচিত এক নায়কদের দখলে। কিন্তু করোনাভাইরাসের ভয়াবহ আঘাত গোটা বিশ্বের রাষ্ট্রনায়ক থেকে শুরু করে মানব জাতিকে এক মোহনায় মিলিত করেছে। মানবতার ধর্মের পতাকাই আজকের পৃথিবীতে উড়ছে করোনার আঘাতে। এটা হয়তো আগামীর পৃথিবীর জন্য আশীর্বাদের বার্তা। মহামারী মুক্ত হলেই পৃথিবীর সামনে অর্থনৈতিক বিপর্যয় হাত ধরাধরি করে কাটিয়ে ওঠার লড়াই।

চীনের উহান প্রদেশে এ রোগের প্রাদুর্ভাব। বিদায়ী বছরের ১ ডিসেম্বর প্রথম করোনাভাইরাস রোগী শনাক্ত হলেও তথ্য গোপনে ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা হরণে সিদ্ধহস্ত চীন ৩১ ডিসেম্বর পৃথিবীকে জানান দেয়। তবে তারা যে উদাহরণ পৃথিবীর সামনে সৃষ্টি করেছে সেখানে এ কথা বলতেই হয় যে- দক্ষতা, পরিকল্পনা ও সাহসের সঙ্গে চীন করোনাকে তার দেশে পরাস্ত করে নিজেদের জনগণকে রক্ষা করেছে। সেখান থেকে শিক্ষা পুতিনের রাশিয়া ছাড়া আর কোনো শক্তিশালী ধনাঢ্য দেশও নিতে পারেনি। চীন এখন করোনামুক্ত হয়ে উহানে উৎসবের আতশবাজি করেছে। আর পৃথিবীজুড়ে লাশের মিছিলের সামনে অসহায় রাষ্ট্রনায়ক থেকে অগণিত মানুষের অশ্রু ঝরছে। চীনে ৮১ হাজার ৫৪ জন আক্রান্ত হলেও ৭২ হাজার ৪৪০ জন সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছে। মৃত্যুবরণ করেছেন ৩ হাজার ২৬১ জন। যদিও এখানে তথ্য গোপনের সংশয় আছে পৃথিবীর মাঝে। বিশ্বের ১৮৮টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। ৩ লাখ ৮ হাজার ৫৯৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন। ১৩ হাজার ৬৯ জন মৃত্যুবরণ করেছেন আর সুস্থ হয়েছেন ৯৫ হাজার ৮২৯ জন। সবচেয়ে করুণ পরিস্থিতি বিরাজ করছে ইতালিতে। প্রেমিকযুগলের বিচরণভূমি ইতালি আজ ইউরোপের করোনার আঁতুরঘর ও পৃথিবীর মৃত্যুকূপে পরিণত। মিলানের কবরে আজ লাশ দাফনের জায়গা নেই। এমন ভয়াবহতা কখনো দেখেনি মানুষ। পুরো দেশ লকডাউন। ৮টি দেশ পুরো লকডাউনে। ইতালি, ডেনমার্ক, বেলিজিয়াম, স্পেন, এল সালভাদোর, পেরু, মালয়েশিয়া ও ফ্রান্স। ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রায় প্রতিটি দেশ, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, পোল্যান্ড, আর্জেন্টিনা, চেকরিপাবলিক, সৌদি আরব, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড, ভারত, পাকিস্তানও লকডাউনে গেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিউইয়র্কে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে লকডাউনে গেছেন। শ্রীলঙ্কা জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে নির্বাচন পিছিয়ে দিয়েছে। লন্ডনে লকডাউন দিলেন বরিস জনসন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক দিনের জনতার কারফিউ দিয়ে জাগিয়েছেন দেশকে। দিল্লি এখন লকডাউন। ইতালিতে ৫৩ হাজার ৫৭৮ জন আক্রান্তের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ৭২ জন, আর মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন ৪ হাজার ৮২৫ জন। ইরান বলছে তাদের প্রতি ১০ মিনিটে ১ জনের মৃত্যু হচ্ছে। প্রতি ঘণ্টায় ৫০ জন আক্রান্ত হচ্ছে। ইতালিতে প্রতি ঘণ্টায় ৩৩ জনের মৃত্যু দেখতে হচ্ছে।

বাংলাদেশ প্রথম করোনা রোগে আক্রান্তের ঘোষণা দিয়েছে ৮ মার্চ। এখন প্রতি ২৪ ঘণ্টায় ৩ জন আক্রান্ত হচ্ছে। এর মধ্যে দুজন ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেছেন। শিবচর লকডাউন করেছে। গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর হয়েছে। সর্বশেষ মিরপুরের ৪০টি বাড়ি লকডাউন। সিলেটে লন্ডন প্রবাসী যে নারীর মৃত্যু হয়েছে তার করোনা শনাক্তই হয়নি। তিনি কতজনের কাছে ভাইরাস ছড়িয়ে গেলেন? প্রবাসী অধ্যুষিত সিলেট বিভাগে কত প্রবাসী এসে ঘুরছেন? এই আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা নিয়েও জনমনে যথেষ্ট সংশয় দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে সবচেয়ে বেদনার বিষয় হলো, আমরা প্রায় তিন মাস সময় পেলেও আক্রান্তের পর দৃশ্যমান হলো দেশের স্বাস্থ্য বিভাগ কার্যকর কোনো প্রস্তুতিই গ্রহণ করতে পারেনি। এই ব্যর্থতা নিদারুণ লজ্জারই নয়, প্লানিরই নয়, চরম অনিশ্চয়তা ও ভয়ের। শনিবার স্বয়ং স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক সংবাদ সম্মেলনে ৩৭ জনকে ডানে-বাঁয়ে-পেছনে নিয়ে বসে প্রমাণ করেছেন জনগণকে সতর্ক-সচেতন করতে তার মন্ত্রণালয় চরম ব্যর্থই হয়নি, তিনি নিজেও নিজেকে সজাগ-সতর্ক-সচেতন করতে ব্যর্থ হয়েছেন। অনলাইন বা ভিডিও কনফারেন্সে ডিজিটাল বাংলাদেশে সংবাদ সম্মেলন করতে পারতেন। একদিন তিনি বলেছিলেন, সক্ষম আমরা। আজ দেখছি চিকিৎসক, রোগী, মানুষ কতটা বিপদে আর কী অক্ষম মন্ত্রী ও তার মন্ত্রণালয়। তা-ই নয়, সরকার যেখানে দেশে সভা-সমাবেশ অনুষ্ঠানে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, শিবচরকে লকডাউন করেছে, যেখানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর উদ্বোধনী উৎসবসহ স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচি, সংসদের বিশেষ অধিবেশন বাতিল করেছে, সেখানে নূরুল হুদার ব্যর্থ নির্বাচন কমিশন গুরুত্বহীন সংসদ থেকে পৌর ও ইউপি চেয়ারম্যান উপনির্বাচন করেছে! ঢাকায় ভোটার যায়নি, গ্রামগঞ্জে সরকারি দল ও সভা-সমাবেশ করেছে। এমন নির্বাচন কমিশন কেন পদত্যাগ করবে না? আমরা করোনা আক্রান্ত ইতালি প্রবাসীদের দেশে অবাধে প্রবেশ করতে দিয়েছি। বিমানবন্দরে পরীক্ষার ব্যবস্থা কার্যকর উপযোগী কোয়ারেন্টাইন করতে পারিনি। তাদের জন্য সুরক্ষিত চিকিৎসক, নার্স দিতে পারিনি। উল্টো তারা মারমুখী হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী নবাবজাদা বলে মানুষকে ব্যথিত করেছেন। অর্থমন্ত্রীর কথায় কথায় টাকার গরম। চীনের মতোন হাসপাতাল বানানোর দম্ভ দেখান! তিন মাসে কেন সারা দেশে চিকিৎসকদেরই তো তাদের টেকনোলজিস্ট, নার্সসহ সুরক্ষিতভাবে কর্মশালাসহ তৈরি করতে পারেননি? চিকিৎসক ও জনগণের সচেতনতায় কী করেছেন? আপনাদের কাজটা কী? পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তো বলেছিলেন, সবচেয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আমাদের বিমানবন্দরে। কোথায় তাহলে? ৬ লাখ বিদেশ থেকে দেশে এসেছে। তাদের কোথায় পরীক্ষা। ৭১ টিভি বলেছে, তিন লাখ বিদেশি এসেছে তার মধ্যে ২ শতাধিককে পরীক্ষা করা হয়েছে। ভাইরাস শরীরে আজ অনেকেই সারা দেশে মানুষের সঙ্গে মিশে গেছে। এখন প্রবাসীদের দোষ দিয়ে নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল কেন? প্রস্তুতি থাকরে এ সমস্যা হতো না। আসলে বঙ্গবন্ধুকন্যার ইমেজ ও শক্তির ওপর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের রক্ত-ঘামে ক্ষমতার রাজনীতিতে আজ হঠাৎ নেতা, হঠাৎ এমপি-মন্ত্রী হয়ে ক্ষমতার মোহে অন্ধ হয়ে যা খুশি তাই বলছেন। জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে ভাবছেন নিজেদের। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উচিত জনগণের মনের ভাষা পড়ে এসব ব্যর্থ বিরক্তিকর অক্ষম, উজিরে খামোখাদের বরখাস্ত করা, দেশে কঠিন ঘোষণা জারি করে এই ভয়াবহতা থেকে মানুষের জীবন নিরাপদ করা। অনেকে কানাডার জাস্টিন ট্রুডোর কথা বলছেন। কানাডা ধনাঢ্য শিক্ষিত সচেতন জনগোষ্ঠীর দেশ। আমরা ১৮ কোটির অসচেতন শত সীমাবদ্ধতা আর আর্থিক সংগ্রামের দেশ। শিক্ষার কথা সচেতনতার কথা নাই বললাম! আমাদের রাষ্ট্রপরিচালনা অনেক কঠিন। চিকিৎসকদের সঙ্গে টেকনোলজিস্ট, নার্সদের সুরক্ষিত করে প্রয়োজনীয় ল্যাব কোয়ারেন্টাইন আইসোলেশন সেন্টার জরুরি দেওয়া উচিত। মুনাফাখোরদের লোভ সংবরণ করতে হবে। ম্যাজিস্ট্রেট, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, চিকিৎসক, গণমাধ্যম কর্মী, বিচারক, আইনজীবী সবার জীবনই ঝুঁকিতে বুঝতে হবে। মেডিকেলসহ দেশের বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-ছাত্রী যারা সেবা দিতে আগ্রহী তাদের প্রশিক্ষিত করা প্রয়োজন। করোনা রোগী ছাড়া কত মানুষ কত রোগে আক্রান্ত। তারা অসুস্থ হলে এখন কী হবে? দ্রুত করতে হবে। একজন বাড়িওয়ালা এক মাসের ভাড়া মওকুফ করেছেন। একজন স্বপ্না এগিয়ে এসেছেন। সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। সরকারকে গ্যাস, বিদ্যুৎ বিল, ব্যাংক সুদ মওকুফসহ মানুষের ঘরে ভিজিএফের মতো খাবার পৌঁছে দেওয়ার কথা ভাবতে হবে। অর্থনীতির চেনা লুটেরাদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহের পাশাপাশি চিকিৎসাসেবা ও মানুষের খাবারসহ প্রয়োজনীয় সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। আন্তর্জাতিক দুনিয়ার কাছে চিকিৎসকদের সুরক্ষাসহ সর্বাত্মক সাহায্য চাইতে হবে। এটা মানবতার লড়াই। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকেই তাঁর নেতৃত্বে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন জাতীয় দুর্যোগ প্রতিরোধ কমিটি করে কঠিনভাবে লড়তে হবে। তাঁর নিজেকেও সুরক্ষায় রাখতে হবে। জাস্টিন ট্রুডোর মতো কোয়ারেন্টাইনে থেকেই যুদ্ধে নেতৃত্ব দিতে হবে। ভয় পাবেন না বললেই ভয় থেকে মুক্ত হওয়া যায় না। আমার ছেলে অন্তর ইংল্যান্ডে একা গৃহবন্দী, মন কাঁদে। ঘরে মেয়ে কাছে এলে স্পর্শ করি না। যদি আমার গায়ে পোশাকে ভাইরাস থাকে এই আতঙ্কে। আমাদের বাড়ির সবার ছোট্ট আদরের বিস্ময় কাছে এলে বুকে টানি না একই কারণে। রাষ্ট্রকেও আজ এই যুদ্ধ মোকাবিলায় কেউ দায়িত্ব পালনে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে তাকে বীরের মর্যাদাই নয়, পরিবারের দায়িত্বও নিতে হবে। যারা সৌদিসহ মধ্যপ্রাচ্যে মসজিদে নামাজ বন্ধ দেখেও এখনো গিজগিজ করে রাজপথে মসজিদে জামাতে নামাজ পড়ছেন তারা ভাবছেন না এই মৃত্যু এতটাই মর্মান্তিক ও অভিশপ্ত যে, মারা গেলে স্পর্শ দূরে থাক গোসল হবে না। জানাজাও হবে না। মিরপুরে যিনি মারা গেলেন তিনি তো মসজিদ আর ঘরেই থাকতেন। তাহলে ভাইরাস এলো কোথা থেকে? তার কাছ থেকেই কতটা ছড়াল? সবাইকে বুঝতে হবে ঘরে নামাজ পড়া যায়। দায়িত্বহীন ও দুর্নীতির জন্য সমালোচিত স্বাস্থ্য খাতের কর্তারা যেমন প্রতিরোধের কোনো পদক্ষেপ নেননি তেমনি জনগণও সচেতন হননি। এখন মৃত্যু দরজায় কড়া নেড়েছে। এখন দ্রুত এই যুদ্ধ করতে হলে যে ফর্মুলায়ই হোক, জনগণকে নিরাপদ রেখে দেশের চিকিৎসক টেকনোলজিস্ট, নার্স বাড়িয়ে হাসপাতালের সংখ্যা, ল্যাবের সুবিধা দ্রুত বাড়িয়ে নিতে হবে। আল্লাহর পরে মানুষের সামনে এখন চিকিৎসকরাই পরম আশ্রয়। তাদের সুরক্ষা ও পর্যাপ্ত শক্তি দিয়ে দেশের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকেই দেশ ও মানবপ্রেমে এই বিপদের মুখোমুখি দাঁড়ালেই সাহস পাবে মানুষ। বিষাদ কেটে ভোরের আলো দ্রুত দেখবে। এখন ঘোর অন্ধকারে সবাই। দেশ-বিদেশের ৫ গবেষকদের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যদি কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া না হয়, ৫ লাখের বেশি মানুষ মারা যেতে পারে। বিপুলসংখ্যক আক্রান্ত হতে পারে। ইতালি উদাসীনতা দেখিয়ে আজ চড়া মাশুল দিচ্ছে। পদক্ষেপ না নিলে আমাদের পরিণতি ইতালির চেয়ে করুণ হবে না তার গ্যারান্টি কোথায়? ইতালির মতো করুণ পরিণতি যেন না হয়- আমাদের।

মন্তব্য করুন


 

Link copied