ডেস্ক: রংপুর বিভাগের আট জেলায় বিদেশফেরত দুই হাজার ২৬ জনের ঠিকানা ও অবস্থান চিহ্নিত করতে পারেনি প্রশাসন। তাদের চিহ্নিত করতে পুলিশ, র্যাব, সেনাবাহিনীসহ প্রশাসন মাঠে কাজ করছে। দ্রুত বিদেশফেরতদের অবস্থানসহ হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন সচেতনরা। না হলে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে তা মহামারি আকার ধারণ করতে পারে বলছেন তারা।
শুক্রবার নগরীতে সেনাবাহিনী বিদেশফেরতদের অবস্থান নিশ্চিত করতে জুম্মাপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় বেশকিছু বাড়িতে গিয়ে বিদেশফেরতদের অবস্থান নিশ্চিত করেন তারা।
বৃহস্পতিবার রংপুর বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় থেকে সংশ্নিষ্ট দপ্তরে পাঠানো তালিকা থেকে জানা যায়, রংপুর বিভাগের ৮ জেলায় ২ হাজার ২৬ জন বিদেশফেরত ব্যক্তির ঠিকানা ও অবস্থান চিহ্নিত করা যায়নি। এর মধ্যে কুড়িগ্রাম জেলায় ৬০১ জনের মধ্যে ৩৩৪, দিনাজপুরে ২ হাজার ২৬৪ জনের মধ্যে ২ হাজার ১২, ঠাকুরগাঁওয়ে ১ হাজার ৪০৩ জনের মধ্যে ২৩৫, পঞ্চগড়ে ৯৭০ জনের মধ্যে ৮০৬ ও লালমনিরহাটে ৩৬৬ জনের মধ্যে ১৮৭ জনের ঠিকানা ও অবস্থান চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে নীলফামারী ও গাইবান্ধা জেলায় বিদেশফেরত সবার অবস্থান চিহ্নিত করা গেছে। এ ছাড়া রংপুর জেলার বিদেশফেরতদের পরিসংখ্যান নেই বিভাগীয় প্রশাসনের কাছে।
এ ব্যাপারে রংপুর বিভাগীয় কমিশনার (ভারপ্রাপ্ত) জাকির হোসেন বলেন, চলতি বছরের ১ মার্চ থেকে বিদেশফেরত ব্যক্তিদের তালিকা করা হয়েছে। এর মধ্যে বেশির ভাগেরই ঠিকানা ও অবস্থান চিহ্নিত করা হয়েছে। যাদের ঠিকানা ও অবস্থান চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি তাদের খোঁজে মাঠে নেমেছেন পুলিশ, র্যাব, সেনাবাহিনীর সদস্যরা। আশাকরি দ্রুতই তাদের অবস্থান শনাক্ত করাসহ যারা স্বেচ্ছায় হোম কোয়ারেন্টাইনে যায়নি তাদের কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করব। এ ছাড়া করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় আট জেলার চিকিৎসা প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। যদি করোনা রোগী পাওয়া যায়, তাদের চিকিৎসায় কোনো সমস্যা হবে না।