শনিবার বিকেলে গাইবান্ধার সিভিল সার্জন ডা. এবিএম আবু হানিফ এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা এক নারীর সংস্পর্শে আসা তার বোনসহ ৩ জনকে প্রথমে গাইবান্ধা শহরের খাঁ পাড়ায় হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। পরে ঢাকা আইইডিসিআরের টিম এসে নমুনা নিয়ে যায়। শনিবার তাদের পরীক্ষার ফল পাওয়া গেছে। এতে তাদের ২ জনের শরীরে কোভিড-১৯ পজেটিভ পাওয়া যায়। এর পর ওই ২ জনকে গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালের আইসোলেশন নেওয়া হয়।
এছাড়া বগুড়ার ৯ জন সাদুল্যাপুর উপজেলায় বিয়ে বাড়িতে আসায় তাদেরকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
অপরদিকে গত ২৪ ঘন্টায় জেলার বিভিন্ন এলাকায় ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পর তাদের মধ্যে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কোন চিহ্ন না পাওয়ায় ১৩ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এখন হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ২২৫ জন। এদের মধ্যে সুন্দরগঞ্জে ৫৮, গোব্দিগঞ্জে ৫১, সদরে ৪২, ফুলছড়িতে ১০, সাঘাটায় ১৪, পলাশবাড়িতে ১৪, সাদুল্যাপুর উপজেলায় ২৭ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। তারা যাতে নিয়মের বাইরে না চলে সেজন্য পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় তাদের উপর কড়া নজরদাড়ি রাখা হচ্ছে বলে জানান সিভিল সার্জন ডা. এবিএম আবু হানিফ।
এদিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় জেলার প্রস্তুতি হিসেবে ৭টি সরকারি হাসপাতালে মোট ৪৮১টি বেড রয়েছে। এর মধ্যে প্রস্ততকৃত বেডের সংখ্যা ৩৫টি। এছাড়া জেলায় মোট ১২৬ জন ও ১৯০ জন নার্স রয়েছেন। চিকিৎসকদের জন্য ৮৫৮টি ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী (পিপিই) মজুদ রয়েছে এবং ইতিমধ্যে ৮টি বিতরণ করা হয়েছে। করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের জরুরী চিকিৎসায় স্থানান্তরের জন্য ১টি এ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রয়েছে ও চিকিৎসা কেন্দ্রের জরুরী বিভাগে আইসোলেসনের ব্যবস্থা রয়েছে।