কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: করোনা পরিস্থিতিতে টানা ৫ম দিনের মতো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, গণ পরিবহন ও পন্য পরিবহন বন্ধ থাকায় সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে দেশের সবচেয়ে দারিদ্র পীড়িত জেলা কুড়িগ্রামের শ্রমজীবি মানুষেরা। এসব মানুষের ঘরে খাবার না থাকায় জীবিকার তাগিদে বের হলেও মিলছে না কোন কাজ।
গত কয়েক দিনের তুলনায় জেলা শহরের সড়কে বেশি সংখ্যক রিকসা ও অটো রিকসা চোখে পড়লে যাত্রী মিলছে না তেমন। শহরের বিভিন্ন মোড়ে ভ্যানগাড়ী নিয়ে সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত বসে থাকলেও মিলছে না ভাড়া।
রিকসা ও ভ্যান চালকরা অভিযোগ করেন, মূলত গণ পরিবহন ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শহরের লোকজন তেমন একটা আসছেন না। ফলে রিকসার যাত্রী মিলছে না। এছাড়াও মিলছে না ভ্যানগাড়ীর ভাড়াও। এসময় তারা আরো অভিযোগ করেন, সরকারীভাবে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হলেও তারা এখন পর্যন্ত কিছুই পাননি।
অন্যদিকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় দু:চিন্তায় পড়েছেন শহরাঞ্চলের ভিক্ষুকরাও। সারাদিন ভিক্ষা করেও মিলছে না চাল কেনার পয়সাও।
এদিকে সরকারী ও বেসরকারী ভাবে শ্রমজীবি মানুষের জন্য খাদ্য সহায়তা বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। বেশির ভাগ মানুষের ভাগ্যে জুটছে না সে সহায়তাও। এ অবস্থায় পরিবার পরিজন নিয়ে দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছেন তারা।
জেলা প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে, জেলার ৯ উপজেলায় কর্মহীন ও হতদরিদ্র মানুষের মাঝে ১৯৬ মেট্রিক টন চাল ও ১০ লাখ ২০ হাজার টাকার খাদ্য সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।