সাইকোলজিক্যাল সায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত এ গবেষণা অনুসারে, স্বামীর স্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ুর বিষয়টি নির্ভর করে স্ত্রীর ওপর। একজন স্ত্রী যদি সবসময় প্রফুল্ল থাকেন তবে তার স্বামী মানসিকভাবে সুখী হন। আর দুশ্চিন্তা না থাকলেও রোগব্যাধিও শরীরে বাসা বাঁধতে পারে না। এতে করে স্বামীর স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে ও তিনি দীর্ঘায়ু পান।
এই সমীক্ষার জন্য গবেষকরা প্রায় সাড়ে চার হাজার মার্কিন দম্পতিকে পর্যবেক্ষণ করেন। যাদের প্রত্যেকেরই বয়স ছিল ৫০ বছরের বেশি। এর থেকে দেখা যায়, যেসব পুরুষরা তাদের স্ত্রীর সঙ্গে অসুখী তারা বিভিন্ন রোগে ভুগছেন। যা তাদের অকাল মৃত্যুর জন্যও দায়ী হতে পারে।
নতুন এই সমীক্ষায় আরও বলা হয়েছে, স্বামী-স্ত্রী সুখী থাকলে কেবল দাম্পত্য জীবনই টেকসই হয় না, বরং দুজনেরই শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যও ভালো থাকে।
নেদারল্যান্ডসের টিলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক অলগা স্ট্যাভ্রোভা বলেন, এই বিষয়ে পাওয়া তথ্যানুসারে যেসব ব্যক্তিদের স্বাস্থ্য খারাপ ও রোগে ভোগেন তারা প্রত্যেকেই স্ত্রীর সঙ্গে দাম্পত্য কলহে যুক্ত রয়েছেন।
আর যারা অর্থকষ্টে থাকলেও স্ত্রীর সঙ্গে সুখী তাদের স্বাস্থ্যও ভালো রয়েছে। তারা অত্যন্ত সুখী জীবনযাপন করছেন।