হারাগাছ মেট্রোপলিটান থানার ওসি রেজাউল করিম জানান, কাউনিয়ার হারাগাছ খানসামা হাট গ্রামের মিনা রানী সুইপার শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) গভীর রাতে হারাগাছ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি হন। সকালে তিনি মারা যান।
স্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রধান ডা. শামসুজ্জোহা বলেন, মিনা করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন কিনা তা নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। তার নমুনা পরীক্ষার জন্য সংগ্রহ করা হয়েছে। মৃত্যুর পর মিনার স্বজনদের আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।
এদিকে, মিঠাপুকুরের ভাংনি ইউনিয়নের কামালপুর গ্রামের এক নারী জ্বর ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়ে মঙ্গলবার টাঙ্গাইলের হাসপাতালে মারা গেছেন। এরপর নমুনা সংগ্রহের জন্য অ্যাম্বুলেন্সে করে লাশ রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। নুমনা নেওয়ার পর মরদেহটি ফের মিঠাপুকুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। লাশ নিয়ে আসার পর অ্যাম্বুলেন্সের চালক ও এই নারীর স্বজনরা গা ঢাকা দিয়েছেন। বর্তমানে অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যেই লাশটি পড়ে আছে।
হাসপাতালের টিএইচও ডা. আব্দুল হাকিম জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
রংপুরের সিভিল সার্জন জানান, দু’টি মৃত দেহের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য রংপুর মেডিক্যাল কলেজের করোনা ল্যাবে পাঠানো হবে। পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়ার পর পুরো বিষয়টির নিশ্চিত হওয়া যাবে।