শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) সকালে শ্যামল চন্দ্র মহন্ত ওরফে নয়ন নামে ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) রাতে প্রতিবেশী জুলফিকার নামে এক যুবক নয়নকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর আর সে বাড়ি ফিরেনি। রাত গভীর হলে আশপাশের এলাকায় খোঁজখবর নিতে শুরু হয়। কিন্তু রাতে কোথাও তার সন্ধান মেলেনি। পরে শুক্রবার সকালে বাড়ির পাশের স্কুলের বারান্দায় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা নয়নের মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে তার পরিবারের লোকজনকে খবর দেয়া হয়।
স্থানীয়দের দাবি, স্কুল চত্বরের ভেতরে টিউবওয়েলের হাতল খুলে তার মাথায় আঘাত করা হয়েছে। এতে তার মাথা থেঁতলে গেছে। মাথা, নাক-মুখ দিয়ে রক্ত ঝরার দাগ বারান্দায় দেখা গেছে। পরনে থাকা প্যান্ট-শার্টে রক্তমাখা অবস্থায় নয়নের নিথর মরদেহটি স্কুলের বারান্দায় পড়েছিল।
এ বিষয়ে বদরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান হাওলাদার জানান, খবর পেয়ে সকালে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক আলামত থেকে এই হত্যাকাণ্ডটি রহস্যজনক বলে ধারণা করা হচ্ছে।