মঙ্গলবার দুপুরে বগুড়া জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহাম্মদ স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জেলার সিভিল সার্জনের সুপারিশের ভিত্তিতে লকডাউনের ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জরুরি ওই গণবিজ্ঞপ্তিটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে।
তবে জরুরি পরিষেবা, চিকিৎসা সেবা, কৃষি পণ্য সংগ্রহ, খাদ্য সরবরাহ ও সংগ্রহ, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ফায়ার সার্ভিস, টেলিফোন, ইন্টারনেট, ব্যাংকিং সেবা, ওষুধ শিল্প সংশ্লিষ্ট যানবাহন, কর্মী ইত্যাদি এবং সরকারের পক্ষ থেকে সময়ে সময়ে ঘোষিত অন্যান্য জরুরি পরিষেবা লকডাউনের আওতা বহির্ভূত থাকবে।
এ আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও গণবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
বগুড়ায় পাঁচ দিনের ব্যবধানে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জফেরত দুই ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। দু’জনই জেলার আদমদীঘি উপজেলার বাসিন্দা। তার পরিপ্রেক্ষিতেই লকডাউনের সিদ্ধান্ত কি না জানতে চাইলে বগুড়ার জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহাম্মদ জানান, সেটিই একটি দিক। তাছাড়া বগুড়ার পরিস্থিতি এখনও অনেক ভাল আছে। পরিস্থিতির যাতে অবনতি না হয় সেজন্যই জেলার সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সুপারিশের ভিত্তিতে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।