খায়রুল ইসলাম, গাইবান্ধা থেকে: চলতি বোরো মৌসুমে নাটোর-নওগাঁর চলনবিল এলাকার কৃষি উৎপাদন সচল রাখতে উৎপাদিত ধান কাটা ও মাড়াই কাজের জন্য চতুর্থ দফায় বৃহস্পতিবার গাইবান্ধা থেকে ১৬০ জন পেশাদার কৃষি শ্রমিক পাঠানো হয়। ধান কাটার জন্য গাইবান্ধা সদর, গোবিন্দগঞ্জ, পলাশবাড়ি উপজেলা থেকে উলে¬খিত পেশাদার কৃষি শ্রমিকরা চলনবিলের উদ্দেশ্যে বাসযোগে রওনা হয়। কৃষি শ্রমিক পাঠানোর এই কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম। এসময় শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মাসুদুর রহমান, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ খান মো. শাহরিয়ার, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর নুর আলম সিদ্দিক, গণ উন্নয়ন কেন্দ্রের প্রোগ্রাম ম্যানেজার মো. আফতাব হোসেন প্রমুখ।
প্রসঙ্গত উলে¬খ্য যে, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নে জেলা পুলিশের উদ্যোগে গাইবান্ধার অন্যতম স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গণ উন্নয়ন কেন্দ্রের সার্বিক সহযোগিতায় ও ব্যবস্থাপনায় এই কৃষি শ্রমিক পাঠানো হয়। উলে¬খ্য, এই প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে ইতোপূর্বেও গাজীপুর জেলায় কৃষি শ্রমিক পাঠানো হয়েছে।
এর আগে কৃষি শ্রমিকদের প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় এবং করোনা পরিস্থিতি নিয়ে শ্রমিকদেরকে স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক নির্দেশনা দেয়া হয়। এছাড়াও শ্রমিকদের মধ্যে দুইটি করে উন্নতমানের মাস্ক, হ্যান্ড ওয়াশ ও শুকনো খাবার প্রদান করা হয়। পরে গণ উন্নয়ন কেন্দ্রের পক্ষ থেকে দেয়া দুটি বিশেষ বাসে করে শ্রমিকরা নাটোরের চলনবিলে যাওয়ার জন্য রওনা হয়।
জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতিতে জেলায় জেলায় লকডাউন থাকায় নাটোর ও নওগাঁ জেলায় শষ্যভান্ডার খ্যাত চলনবিল অঞ্চলে কৃষি শ্রমিকের চরম সংকট দেখা দিয়েছে। দেশে খাদ্য সরবরাহ ঠিক রাখার জন্য দক্ষিণা অঞ্চলের এলাকায় সময়মত ধান কাটা প্রয়োজন। ফলে আসন্ন সম্ভাব্য ঝড়, বৃষ্টি, বন্যা সহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগে তা ব্যাহত হতে পারে এমন আশংকায় সরকারি উদ্যোগে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বিভিন্ন জেলায় নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত উলে¬¬খ্য যে, ইতোপূর্বে প্রথম দফায় গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা থেকে নাটোরের চলনবিলে ২২ জন, দ্বিতীয় দফায় গাইবান্ধা সদর উপজেলা থেকে গাজীপুরে ১১ জন এবং তৃতীয় দফায় সুনামগঞ্জ জেলার হাওর এলাকায় ৫২ জনের কৃষি শ্রমিকের দল পাঠানো হয়।