গত ২৫ এপ্রিল রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শাখাহার ইউনিয়নের আলীগ্রামের ১৪ বছর বয়সী এই কিশোরের মৃত্যু হয়।
সোমাবার রংপুর মেডিকেলে পরীক্ষার পর তার করোনাভাইরাস সংক্রমণের তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানান গাইবান্ধার সিভিল সার্জন এবিএম আবু হানিফ।
গাইবান্ধায় এই প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্ত কারও মৃত্যু হলো বলে সিভিল সার্জন জানান। তিনি জানান, ওই কিশোরের মা গার্মেন্টস শ্রমিক ও বাবা দিনমজুর। তারা দুজনই ঢাকার সাভারে থেকে কাজ করেন। সেখান থেকে গত ২০ এপ্রিল বাড়ি আসেন তারা। গত ২৪ এপ্রিল তাদের ছেলে অসুস্থ হয়; ২৫ এপ্রিল বেলা ১১টায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানে ওই দিন বেলা পৌনে ১২টায় তার মৃত্যু হয়।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মজিদুল ইসলাম জানান, ছেলেটি প্রায় দুই বছর আগে মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় মাথায় আঘাত পায়। এতে সে আংশিক স্মৃতি শক্তি হারিয়ে ফেলে। এ কারণে সে মাঝে মধ্যে অসুস্থ হতো। গত ২৪ এপ্রিল অসুস্থ হলে পরিবারের লোকজন ধারণা করে সেই সড়ক দূর্ঘটনাজনিত কারণেই সে অসুস্থ হয়েছে।
তিনি আরও জানান, কিন্তু রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর চিকিৎসকদের সন্দেহ হয় ছেলেটি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য তারা নমুনা সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেন কর্মরত চিকিৎসকগণ। কিন্তু তার আগেই তার মৃত্যু হয়। পরে নমুনা পরীক্ষঅয় আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি মেহেদি হাসাস জানান, মৃত কিশোরের সংস্পর্শে আসা প্রায় ৫০ জনকে শনাক্ত করে তাদেরকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।