গতকাল বৃহস্পতিবার(৩০এপ্রিল) সন্ধ্যায় উপজেলার গোড়ল ইউনিয়নের চাকলাহাট গ্রামে ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আজ শুক্রবার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই গ্রামের গ্রামের বাসিন্দা অনিল চন্দ্র রায় গত ১৫ এপ্রিল ঢাকা থেকে চাকালাহাটের বাড়িতে আসেন। পরে ওইদিনেই তিনি ঘুরতে যান স্থানীয় বাজারে। তবে স্থানীয় যুবক সাহেব আলীসহ কয়েক ব্যক্তি তাকে বাজারে না ঘুরে বাড়ি গিয়ে ‘হোম কোয়ারেন্টিনে’ থাকতে বলেন। এতে অনিলের সাথে স্থানীয়দের কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জের ধরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে অনিল চন্দ্র তার প্রতিবেশি সুধাংশু চন্দ্র রায়ের বাড়িতে সাহেব আলী নামের এক যুবককে আটককে রেখে মারধর করে। এ খবর জানাজানি হলে সাহেব আলীর পরিবারের লোকজন লাঠিসোঠা নিয়ে তাকে উদ্ধার করতে গেলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে শুধাংশু নিজের বাড়ির ছোট্ট একটি রান্না ঘরে নিজে নিজেই আগুন ধরিয়ে এবং বাড়ির অপর একটি ঘরে ভাংচুর শেষে সাহেব আলীর ঘাড়ে দায় চাপাতে অনিলসহ চিৎকার শুরু করে। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে।
তবে শুধাংশু চন্দ্র অভিযোগ করে বলেন, ‘কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে শাহ আলী তার দুই ছেলে সাজিদ আলম, সাহেদ আলীসহ ১৫-২০ জন মিলে আমাদের দুজনের বাড়িতে প্রকাশ্যে হামলা চালিয়েছে।’
অপরদিকে শাহ আলী বলেন, ‘ঢাকা ফেরত অনিল চন্দ্রকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলায় আমার ছেলেকে ধরে নিয়ে মারধর করেছে। আর নিজেরাই বাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন দিয়ে আমাদের ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। তাছাড়া মারামারির ঘটনাকে আড়াল করে সাম্প্রদায়িক ইস্যু তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে।’
কালীগঞ্জ থানার ওসি আরজু মো. সাজ্জাদ জানান, থানায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।