আর্কাইভ  মঙ্গলবার ● ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ● ৩ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   মঙ্গলবার ● ১৬ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: বাস-পিকআপ সংঘর্ষে ১১ জন নিহত       উপজেলা পরিষদ নির্বাচন: রংপুরে ৩০ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল        ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ডোমার ও ডিমলায় মনোনয়ন জমা দিলেন ৩৫ জন       নীলফামারীতে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী নারীকে গণধর্ষন -গ্রেপ্তার ৬       বেরোবি শিক্ষার্থী আফ্রিদি ফিরবে লাশ হয়ে      

 width=
 

এরশাদের মুখপাত্র কে এই ববি হাজ্জাজ!

সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৩, দুপুর ১১:১৭

সবার মনেই প্রশ্ন কে এই ববি হাজ্জাজ? কী তার পরিচয় ? এমন অনেক প্রশ্ন ঘুরে ফিরে আসছে মানুষের মধ্যে। হঠাৎ গণমাধ্যমের সামনে আসা এই মুসা হাজ্জাজ বাংলাদেশের বিতর্কিত ব্যবসায়ী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য শেখ সেলিমের বেয়াই মুসা বিন শমসের-এর ছেলে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বলছেন, অসুস্থ এরশাদকে চিকিৎসার জন্য সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে এরশাদ নিজে শুক্রবার এক বিবৃতিতে দাবি করেছেন তাকে আটক রাখা হয়েছে। তিনি পুরোপুরি সুস্থ। রাজনীতিতে যখন এরশাদকে নিয়ে নানা ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে তখন মুখপাত্র হিসেবে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছেন ববি হাজ্জাজ।

শনিবার সাংবাদিকদের তিনি জানান, নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে এতটুকু পিছ পা হননি সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদ। জাতীয় পার্টির যে বা যারাই নির্বাচনে যাওয়ার জন্য তৎপরতা চালাচ্ছেন তাদের সঙ্গে দলের চেয়ারম্যানের কোনো কথা হয়নি বলেও দাবি করেন হঠাৎ প্রকাশ্যে আসা ববি।

এরশাদের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, নির্বাচনকে ঘিরে জাতীয় পার্টির রাজনৈতিক টানাপোড়েনের সময় এরশাদ শেখ হাসিনার সুনজরে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। যে কারণে শেখ সেলিমের বেয়াই বিতর্কিত ধনকুবের মুসা বিন শমসের পরিবারকে পাশে রাখতে চাইছেন। তাছাড়া দেশের এই দুঃসময়ে আর্থিক সঙ্গতিকেও গুরুত্ব দিচ্ছে সাবেক সেনা শাসক এরশাদ। যেকারণে বয়সে একেবারেই তরুণ হলেও বিদেশে জীবনের অনেকটা পার করা ববি হাজ্জাজকে পাশে রাখছেন তিনি। তবে দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা থাকতে ববির মতো একজন তরুণকে কাছে টেনে নেওয়ায় জাপা নেতারাও অসন্তুষ্ট বলে সূত্র জানিয়েছে। এমনকি জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্যদের অনেকেই চেনেন না ববি হাজ্জাজকে। এছাড়া ব্যবসায়ী মহলে ববির বাবার কর্মকাণ্ড নিয়ে বিতর্ক থাকায় অনেকে তাকে লাইম লাইটে নিয়ে আসার পক্ষে নয় বলে জানা গেছে।

ব্যবসায়ী মুসা বিন শমসের বাংলাদেশের বাইরে বিভিন্ন দেশে প্রিন্স মুসা নামে পরিচিত। ১৯৯৪ সালে তিনি বৃটেনের লেবার পার্টিতে পাঁচ মিলিয়ন পাউন্ড দান করার প্রস্তাব দিয়ে আলোচনায় এসেছিলেন। কিন্তু বৃটেনের ভূমিপুত্র না হওয়ায় তার প্রস্তাবটি ফিরিয়ে দেয়া হয়েছিল।

তবে ধনকুবের বনের যাওয়ার পেছনে মুসার বিভিন্ন ধরনের অনৈতিক ব্যবসা নিয়ে অতীতে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, অস্ত্র ও চোরাচালানসহ বিভিন্ন অনৈতিক ব্যবসা বাণিজ্যের বিশাল নেটওয়ার্ক আছে তার। এর আগে সুইস ব্যাংকে মুসার সাত বিলিয়ন ডলারের একউন্টও জব্দ করা হয়েছিল।

মন্তব্য করুন


 

Link copied