আর্কাইভ  বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪ ● ১৪ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা       রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

পুলিশের সুরক্ষায় জাতির দায় এড়ানোর সুযোগ নেই

রবিবার, ৩ মে ২০২০, সকাল ০৯:২৬

তপন কুমার রায়

একটি আলোচনার অবতারণা করা যাক। সম্প্রতি পুলিশের একজন উর্দ্ধতন কর্মকর্তা বেসরকারি একটি টেলিভিশনে মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহন করেন। তিনি স্পষ্টভাবে একটি বিষয় তুলে ধরেন যে, সম্মুখ সারির যোদ্ধা হিসেবে ডাক্তারের ন্যায় পুলিশও কোন অংশেই করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কম ঝুঁকিতে নেই। বরংচ পুলিশের ঝুঁকির মাত্রা একটু বেশিই বলা চলে। কেননা, সম্মুখ সারির যোদ্ধা ডাক্তার কিংবা স্বাস্থ্যকর্মীরা যেসব করোনা আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন তা শতভাগ জেনেশুনে ঝুঁকির মাত্রা বুঝেই দিচ্ছেন। এই জন্য তারা নিজেদের সর্বোচ্চ সুরক্ষা নিশ্চিত করে রোগীর কাছে যেতে পারে। কিন্তু পুলিশের পক্ষে সেই সুরক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়না। কেননা, পুলিশ কাজ করছে ১৬ কোটির অধিক অজ্ঞাত শত্রুর বিরুদ্ধে। পুলিশ সদস্যরা নিশ্চিত নয়, কোন মানুষটির শরীরে করোনা ভাইরাস আছে আর কার শরীরে নেই। বাজারে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে গিয়ে পুলিশ সদস্যরা সেই অজ্ঞাত শত্রুর মুখোমুখি হচ্ছে। ট্রাফিকে কিংবা নিয়মিত চেকপোস্টে কত অজ্ঞাত লোক কাছে আসে। কারণ হিসেবে তিনি যে যুক্তিটি দাঁড় করিয়েছেন তা যে নিছক নিজ কর্ম আর বিভাগের কর্তৃত্বকে শ্রেষ্ঠত্বের প্রমান দাবি করা তা কিন্তু নয়। তার প্রমাণ সাত শতাধিক পুলিশ সদস্যদের আক্রান্তে সংখ্যায়। তাই করোনার ভাইরাস সংক্রমণের থাবা থেকে পুলিশ সদস্যদের সুরক্ষা বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্বের সাথে দেখা উচিত বলে এখন সময়ে দাবি।

মৃত্যুর মিছিলে প্রতিদিনই যোগ হচ্ছে নতুন পুলিশ সদস্যদের নাম। নিজ বিভাগের সহকর্মীদের হারিয়েও থেমে নেই পুলিশের অন্যান্য সদস্যরা। দেশমাতৃকার ক্রান্তিলগ্নে পিছুটান দেয়ার সময় যে নেই তা আজ জাতিও বুঝে গেছে। তাই ব্যক্তিগত সুরক্ষা ব্যবস্থার অযুহাত পুলিশের কোনো সদস্যকে দমাতে পারেনি। ডিসিপ্লিন বাহিনী হিসেবেও কোনো অযুহাত দাঁড় করানোর সুযোগ নেই পুলিশ সদস্যদের। ফলে দেশের ক্রান্তিলগ্নে পুলিশের ভূমিকা জাতির বাহবা কিংবা প্রশংসা কুড়াচ্ছে। এই প্রশংসা নিঃসন্দেহে পুলিশের কর্মযজ্ঞকে উৎসাহিত করবে। কিন্তু তারপরও জাতিকেই এই পুলিশের ভবিষ্যৎকে নিয়ে ভাবতে হবে। পুলিশের ব্যক্তি জীবনেও যে পরিবার নামক একটি গন্ডি আছে। জাতির প্রতি পুলিশের যেমন দায়বদ্ধতা, তেমনি পুলিশের সুরক্ষায় জাতিরও দায়বদ্ধতা এড়ানোর সুযোগ নেই। তাই পুলিশের ব্যক্তিগত সুরক্ষা নিশ্চিত করা এই জাতির হাতেই দায়বদ্ধ বটে।

অন্যদিকে, দেশের ক্রান্তিকালে পুলিশের অগ্নিপরীক্ষাও বটে। শত প্রতিকূলতার মাঝেও নিজেদের অস্তিত্ব টিকে রাখার লড়াই। পুলিশের যেমন ইতিহাস-ঐতিহ্য সুনাম আছে, তেমনি নানা কারণে এই বিভাগের সদস্যদের প্রতি মানুষের অবিশ্বাস-দীর্ঘশ্বাসও আছে। জাতির নিদানকালে মানুষের সেই অবিশ্বাসের দ্রাঘিমা অতিক্রান্ত করে বিশ্বাস অর্জন করার মোক্ষম সুযোগ ও সময়। সহকর্মী হারানোর শোককে শক্তিতে পরিণত করে এগিয়ে যেতে হবে পুলিশের দুই লক্ষাধিক সদস্যকে। ধৈর্য আর মনোবল হারানোর সময় এখন নয়। এগিয়ে যেতে হবে অভীষ্ট লক্ষ্যে, বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের "গীতাঞ্জলি" র চরণাশ্রিত হয়ে -

“বিপদে মোরে রক্ষা করো এ নহে মোর প্রার্থনা- বিপদে আমি না যেন করি ভয়। দুঃখতাপে ব্যথিত চিতে নাই-বা দিলে সান্ত্বনা, দুঃখে যেন করিতে পারি জয়।”

লেখক: শিক্ষানবিশ উপ পুলিশ পরিদর্শক ই-মেইল: tapanbrur@gmail.com

মন্তব্য করুন


 

Link copied