গত রবিবার (৩ মে) পরযন্ত রংপুর বিভাগে করোনায় দুই জনের মৃত্যু হলেও কোভিড-১৯ পজিটিভ হিসেবে তার মৃত্যুর তথ্য দেখানো হয়েছে কিশোরটি মারা যাওয়ার ৮ দিন পর। এদিকে রংপুর মেডিকেলে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করা আরও একজনের তথ্য নেই আইইডিসিআরে।
অনুসন্ধানে জানাগেছে, নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের সোহরাব মাষ্টারপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলের গত ২৫ এপ্রিল পেটে ব্যথা নিয়ে পরিবারের লোকজন তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজে করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৬ এপ্রিল ওই ব্যাক্তির মৃত্যু ঘটে। মৃত্যুর পর রংপুর মেডিকেল কর্তৃপক্ষ তার নমুনা সংগ্রহ করে মৃতদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। পরিবারের লোকজন মরদেহ নিয়ে এসে ২৭ এপ্রিল পারিবরিক কবরস্থানে দাফন করেন। গত ২৮ এপ্রিল (মঙ্গলবার) মৃত সেই ব্যাক্তির শরীরের নমুনায় করোনা পজেটিভ আসে।
মৃত্যুর পর করোনা পজেটিভ হলেও গত এক সপ্তাহে আইইডিসিআরের মৃত্যুর তালিকায় তার নাম নেই। আইইডিসিআর আসলেই সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টার তথ্য আপডেট করছে কিনা স্থানীয় প্রশাসন ও জনমনে দেখা দিয়েছে সে প্রশ্নও।
এদিকে করোনা আক্রান্তদের সংখ্যার তথ্যেও আইইডিসিআরের সাথে জেলা সিভিল সার্জনদের দেওয়া তথ্যের গড়মিল দেখা গেছে। আইইডিসিআরের দেওয়া তথ্যে গত ৩ মে রংপুর জেলায় আক্রান্ত সংখ্যা ৫০ বলা হলেও সিভিল সার্জনের তথ্যে দেখানো হয়েছে ৫১ জন। গাইবান্ধা সিভিল সার্জনের তথ্য মতে করোনা আক্রান্ত সংখ্যা ২৩ জন কিন্তু আইইডিসিআরের হিসেবে আক্রান্ত ২৫ জন। গাইবান্ধা জেলা সিভিল সার্জনের তথ্য মতে আক্রান্ত ২২ জন, কিন্তু আইইডিসিআরের হিসেবে আক্রান্ত ১৯ জন। জানাগেছে, বিভাগের অধিকাংশ জেলার করোনা আক্রান্ত তথ্যে আইইডিসিআরের সাথে স্থানীয় প্রশাসনের তথ্যের কোন মিল নেই।