আতাইকুলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি নাসিরুল আলম জানান, ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলামের ছেলে মুসা কর্মচারীকে সাথে নিয়ে গত রবিবার দুপুরে আতাইকুলা বাজার শাখা অগ্রণী ব্যাংকে টাকা জমা রাখতে আসেন। পথিমধ্যে পূর্ব থেকে ওঁৎ পেতে থাকা ছিনতাইকারীরা বাজার সংলগ্ন ব্রীজের পাশ থেকে তাদের মারপিট করে টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। মুসার আত্মচিৎকারে পাশ্ববর্তীরা ছিনতাইকারীদের ধাওয়া করলে টাকার ব্যাগ ফেলে রেখে তারা দৌড়ে পালিয়ে যায়। ব্যবসায়ী মুসা আতাইকুলা থানায় মৌখিক অভিযোগ করলে মুহূর্তেই থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে থানার বৃহস্পতিপুর জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রুহুল আমিন মৃধা ও তার ছোট ভাই রানা মৃধা ও মামা শিপনকে আটক করে পুলিশ।
এদিকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত ব্যবসায়ীর ছেলে মুসাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ভুলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু ইউনুস জানান, ছাত্রলীগকে ভাঙিয়ে রুহুল আমিন এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে।
এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ছাত্রলীগের পদে থেকে কেউ অপকর্ম করলে দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক শাস্তি তাকে পেতেই হবে। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের এই সিদ্ধান্তকে তিনি সাধুবাদ জানান।
আতাইকুলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি জানান, ছিনতাইয়ের অভিযোগে থানায় মামলা হলে তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে কোটে প্রেরণ করা হয়। ছাত্রলীগ নেতা রুহুল আমীনের বিরুদ্ধে থানা একাধিক অভিযোগও রয়েছে বলে জানান তিনি।