বৃহস্পতিবার (১৪ মে) রাত সাড়ে ৮টায় তাকে আটক করে পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। চিকিৎসকরা ধারণা করছে তার দ্বারা অর্ধশতাধিক ব্যক্তি করোনা সংক্রামিত হয়ে থাকতে পারে। তাদের সন্ধান চলছে।
তথ্য সুত্র, ঢাকার নারায়নগঞ্জের গার্মেন্টস কর্মী রিয়াজুল ইসলাম(৩৫) জ্বর, সর্দি ও গলাব্যথা অনুভব করলে ঢাকায় নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। বুধবার তার করোনা পজেটিভ রিপোর্ট আসে। রিপোর্ট হাতে পেয়ে সে ঢাকার ঠিকানায় ফিরে যায়নি। সে পালিয়ে আসে গ্রামের বাড়ি লালমনিরহাটে।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, করোনা আক্রান্ত যুবক তার রিপোর্ট পেয়ে ঢাকা হতে ১৪ জন মিলে একটি মাইক্রোবাস ভাড়া করে রংপুরে আসে। সকলে রংপুরে নেমে যায়। পরে সে রংপুর হতে ভেঙ্গে ভেঙ্গে অটো রিক্সা যোগে পাটগ্রামে তার গ্রামের বাড়িতে আসে। ঢাকায় করোনা পজিটিভ রিপোর্টের পরে তাকে আইসোলেশনে নিতে গিয়ে দেখে সে পালিয়েছে। পরে ঢাকা হতে পাটগ্রাম পুলিশ ও লালমনিরহাটের সিভিল সার্জনকে বিষয়টি অবগত করা হয়। তাকে সনাক্ত করে রাতে পাটগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।
এদিকে তার দেয়া তথ্যমতে রংপুরে নেমে যাওয়া মাইক্রোবাসের চালক, সহযাত্রী ও ভেঙ্গে ভেঙ্গে আসা অটোরিক্সার যাত্রী ও চালকদের সন্ধান করা হচ্ছে। কারণ সংক্রামণ রোধে তাদের নমূনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হবে।
লালমনিরহাট সিভিল সার্জন ডাঃ নির্মূলেন্দ্র রায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। যুবকের এই আচরণকে অপরাধ ও কান্ডহীন বলেও অবহিত করেন তিনি।