নীলফামারী প্রতিনিধি: প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে চার বছরের নিজ কন্যা সন্তান সুমী আক্তারের গলায় ছুড়ি চলিয়েছে এক পাষণ্ড বাবা। আজ বুধবার সকাল ১০ টার দিকে ঘটনাটি ঘটে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের রূপাহারা গ্রামে। এলাকাবাসী শিশুটিকে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে আসে। দুপুর ১২টা দিকে শিশুটিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে ডিমলা হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক জানায়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত বাবা মসিদুল ইসলামকে(৪০) আটক করেছে পুলিশ। আটক মসিদুল ওই গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে।
এলাকাবাসী জানায় একই গ্রামের শনে আলীর ছেলে হাফিজুল ইসলামের(৪৫) সঙ্গে ৭০ শতক জমি নিয়ে মসিদুল ইসলামের বিরোধ চলে আসছিল। বিরোধপূর্ণ জমিতে মসিদুল ঘর তুললে আজ বুধবার সকালে হাফিজুল ইসলাম তার দলবল নিয়ে মসিদুলের ঘর ভাংচুর করছিল। এ সময় মসিদুল ইসলাম প্রতিপক্ষকে রুখতে ধারালো ছুড়ি দিয়ে তার চার বছরের মেয়ে সুমী আক্তারের গলা কেটে মাটিতে ফেলে দেয়। এ অবস্থায় প্রতিপক্ষরা পরিস্থিতি বেগতিক দেখে পুলিশকে খবর দিয়ে গ্রামবাসীর সহায়তায় শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়।
ডিমলা থানার ওসি মফিজুল ইসলাম জানান খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে গ্রামবাসীর কাছে প্রমাণ সাপেক্ষে শিশুটির বাবাকে আটক করা হয়। শিশুটির অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে রংপুর মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।