আর্কাইভ  শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ● ৬ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: পলাশবাড়ীতে আসামির ছুরিকাঘাতে বাদীর মৃত্যু, গ্রেফতার ১       মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের সন্তান-স্বজনের ভোটে না দাঁড়ানোর নির্দেশ       ভোজ্যতেলের দাম বাড়ল, খোলা তেলে সুখবর       বিএনপি নেতা সোহেলের নিঃশর্ত মুক্তি দাবিতে রংপুরে  মানববন্ধন ও সমাবেশ        খরার ঝুঁকিতে রংপুর অঞ্চল      

 width=
 

ডোমারে আঃলীগ নেতা ও ইউপি সদস্যের চাল কান্ড নিয়ে তোলপাড়

বৃহস্পতিবার, ২৮ মে ২০২০, রাত ০৯:২৫

বিশেষ প্রতিনিধি,নীলফামারী ॥ সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসুচির ১০ টাকা কেজি দরের চালের তিনজন অসহায় পরিবারের কার্ডের ১৬ মাসের এক হাজার ৫শত কেজি চাল আতœসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে নীলফামারীর ডোমার উপজেলার কেতকীবাড়ি ইউনিয়নের ডিলার উক্ত ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক রবিউল ইসলাম স্বাধীন ও দুই নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জিয়াউর রহমান বাবুইয়ার বিরুদ্ধে। ঘটনা ফাঁস হয়ে পড়ায় বৃহস্পতিবার এ নিয়ে তোলপাড় সৃস্টি করেছে এলাকাজুড়ে। এলাকাবাসী জানায় ঘটনা ধামাচাপা দিতে তারা অসহায় তিন কাডধারীর বাড়িতে গিয়ে তাদের ৩০ কেজি করে চাল ও তাদের নামের কাডগুলো হস্তান্তর করে সঠকে পড়েন। ওই তিন কাডধারীর অভিযোগ ঘটনা প্রকাশ না করার জন্য তাদের হুমকী দিয়ে বলা হয় প্রকাশ করলে কাড বাতিল করে দেয়া হবে। সরেজমিনে ও স্থানীয় খাদ্য দপ্তর সুত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ৩১ অক্টোবর খাদ্য মন্ত্রনালয় ও খাদ্য অধিদপ্তরের খাদ্যবান্ধব কর্মসুচি চালু করে। নীলফামারীর ডোমার উপজেলার আওতায় ১০টি ইউনিয়নে ১৮ হাজার ছয় শত ৮৫ টি কার্ডের মাধ্যমে ১০টাকা কেজি মূল্যে ৩০ কেজি চাল বিক্রয় কার্যক্রম চালু হয়। ওই কর্মসূচির আওতায় কেতকীবাড়ী ইউনিয়নে দেড় হাজার কার্ডের বিপরীতে সরকার কর্তৃক তিন জন নিয়োগকৃত ডিলারের মাধ্যমে হত দরিদ্রদের চাল বিক্রয় হয়ে আসছে।ইউনিয়নটির দুই নম্বর ওয়ার্ডের হাটপাড়া গ্রামের হতদরিদ্র জাহেদা (কার্ড নং ২১৬), রশিদ (কার্ড নং ২০৮), জুয়েল (কার্ড নং ১৬৭) শুরু থেকে বরাদ্দ পায়। কিন্তু তারা জানতে পারেনি তাদের নামের কার্ড ডিলার ও ইউপি সদস্য জিম্মি করে ভোগ করে আসছে। হতদরিদ্র তিনজন জানায় আমরা গবির হওয়ায় সরকারী সহায়তার জন্য প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে খাদ্যবান্ধব কর্মসুচির ডিলার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক রবিউল ইসলাম স্বাধীন ও ইউপি সদস্য জিয়াউর রহমান আমাদের কাছে ভোটার আইডি ও ছবি নেয়। কিন্তু আমরা কোন সরকারী সহায়তা পাই নাই। করোনা ভাইরাস ও রমজান মাসে সরকারী ত্রানের জন্য আমরা বিভিন্নস্থানে ধর্না দিয়েও ত্রান পাইনি। আমাদের বলা হয় তোমরা ত্রান পাবেনা। তোমাদের নামে খাদ্যবান্ধব কর্মসচির কার্ড আছে। ঈদের কয়েকদিন আগে ডিলার ও ইউপি সদস্য আমাদের বাসায় এসে আমাদের নামের কার্ড সহ ৩০ কেজি করে চাল নিয়ে আসে। আমরা তাদের কাছে জানতে চাই, আমাদের নামে নাকি সাড়ে তিন বছর আগে ১০ টাকা কেজি চালের কার্ড হয়েছে? তারা আমাদের ৩০ কেজি চাল দিয়ে বলে, তোমাদের কোন টাকা দিতে হবে না। তোমরা ঘটনা প্রকাশ করবেনা। প্রকাশ করলে তোমাদের কার্ড বাতিল করে দেয়া হবে। এ ব্যাপারে কেতকীবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলামের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন ঘটনা শুনেছি। ডিলার নিজেও স্বীকার করে বলেছে এটি ভুল হয়েছে তার। এমন কি আমাদের ডোমার-ডিমলা আসনের সংসদ সদস্য আফতাব উদ্দিন সরকার এ ঘটনার জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করে ডিলার ও ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জোড় দিয়েছেন। তবে খাদ্যবান্ধব কর্মসুচির ডিলার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক রবিউল ইসলাম স্বাধীন ও ইউপি সদস্য জিয়াউর রহমান বাবুজি তাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন যাদের নামে কার্ড তারাই চাল উত্তোলন করে। এ বিষয়ে ডোমার উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অধ্যাপক খায়রুল আলম বাবুল বলেন, এমন অন্যায়ের বিচার হওয়া উচিত। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মাহমুদ হাসান বলেন, সুবিধাভোগীরা কার্ড না পাওয়ার বিষয়টি শুনেছি। অভিযোগের তদন্ত সাপেক্ষে দোষিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। উল্লেখ যে ২০১৬ সালের ৩১ অক্টোবর হতে খাদ্যবান্ধব ওই তিনটি কার্ডে ১৭ বার ৩০ কেজি করে মোট এক হাজার পাঁচ শত ৩০ কেজি চাল উত্তোলন করা হয়েছে। এরমধ্যে এক কোঠার চাল ডিলার ও ইউপি সদস্য কার্ডধারিদের বাড়িতে দিয়ে আসে।

মন্তব্য করুন


 

Link copied