শুক্রবার, ২৯ মে ২০২০, রাত ১২:০২
স্টাফ রিপোটার : লালমনিরহাটের আদিতমারীতে নদী থেকে সরকারী ব্যাগে মোড়ানো সেই পোশাক শ্রমিক মৌসুমীর মৃত্যুর ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত দাবি করেছেন দাফনে বাঁধানের অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ নেওয়াজ নিশাদ। বৃহস্পতিবার(২৮ মে) দুপুরে নিজ কার্যালয় পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন তিনি। মৃত পোশাক শ্রমিক মৌসুমী আক্তার পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের গুচ্ছগ্রামের গোলাম মোস্তফার স্বামী নিগৃহীতা মেয়ে। তিনি একই উপজেলার বাউড়া ইউনিয়নের সরকারের হাট এলাকার মিজানুর রহমানের স্ত্রী। পুলিশ ও নিহতের পরিবার জানান, নিহত পোশাক শ্রমিক মৌসুমী গাজিপুরে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। গত বৃহস্পতিবার(২১ মে) অসুস্থতা অনুভব করলে একটি ট্রাক যোগে বাড়ির উদ্দেশ্যে রহনা দেন তিনি। পথিমধ্যে রংপুরের তাজহাট এলাকায় পৌছলে ট্রাক চালক তাকে মৃত দেখে মরদেহ ফেলে পালিয়ে যান। অজ্ঞত মরদেহ হিসেবে তাজহাট থানা পুলিশ উদ্ধার করে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠান। পরদিন শুক্রবার খবর পেয়ে মৃতের বাবা গোলাম মোস্তফা তাজহাট থানায় গিয়ে মেয়ের মরদেহ সনাক্ত করেন। মেয়ের মরদেহ বুঝে নিয়ে বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ নেওয়াজ নিশাদকে মোবাইলে বিষয়টি অবগত করে নিজ এলাকায় দাফনের অনুমতি চান। কিন্তু চেয়ারম্যান ওই মরদেহসহ পুরো বাড়ি এবং মরদেহবাহি গাড়ি পুড়িয়ে দেয়ার হুমকী দেন বলে অভিযোগ তুলেছিলেন মৃতের বাবা গোলাম মোস্তফা। অবশেষে নিরুপায় হয়ে মরদেহ দাফন করতে তাজহাট এলাকার এক লাশবাহি গাড়ি চালককে ৫হাজার টাকা প্রদান করে বাড়ি ফিরেন। এর দুই দিন পরে স্থানীয়দের খবরে রোববার(২৪ মে) রাতে আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের গোবর্দ্ধন গ্রামে তিস্তা নদী থেকে সরকারী ব্যাগে মোড়ানো অজ্ঞত মরদেহটি উদ্ধার করে থানা পুলিশ। পরদিন সোমবার(২৫ মে) মেয়ে মৌসুমীর মরদেহ দ্বিতীয় দিনের মত সনাক্ত করেন গোলাম মোস্তফা। অবশেষে আদিতমারী থানা পুলিশ পাটগ্রাম থানা পুলিশের সহায়তায় নিজ গ্রামে মৃত মৌসুমীকে দাফন করে। মৃত মৌসুমীর বাবা গোলাম মোস্তফা বলেন, হাতে পায়ে ধরতে চেয়েও লাশ গ্রামে নিতে দেয়নি আবু সাঈদ নিসাদ চেয়ারম্যান। বাধ্য হয়ে একজন চালককে ৫হাজার টাকা দিয়েছি দাফন করতে। তারাও দাফন না করে নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছে। অবশেষে আবারো মেয়ের মরদেহ সনাক্ত করতে হলো আদিতমারী থানায়। পুলিশের পাহারায় মেয়ের মরদেহ দাফন করি। মেয়ের মরদেহ নিয়ে যারা ব্যবসা করেছে তাদের বিচার দাবি করেন তিনি। মেয়ের বাবার এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিভিন্ন গনমাধ্যমে গুরুত্বসহ প্রচার হলে নিজের অবস্থান তুলে ধারতে বৃহস্পতিবার(২৮ মে) সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন বুড়িমারী ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ নেওয়াজ নিশাদ। সংবাদ সম্মেলনে বুড়িমারী ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ নেওয়াজ নিশাদ বলেন, ট্রাকে ঢাকা থেকে ফেরার পথে পোশাক শ্রমিক মৌসুমীর মৃত্যুর খবর পেয়ে রংপুরের তাজহাট থানার সাথে যোগাযোগ করে তার বাবা গোলাম মোস্তফার হাতে মরদেহ হস্তান্তরের অনুরোধ করি। গুচ্ছগ্রামে জায়গা সংকটের কারনে নিহত মৌসুমীর দাদার কবরের পাশে তার মরদেহ দাফনের প্রস্তুতি নেয়া হয়। কিন্তু মরদেহ নিয়ে আসছি আসছি বলে অনেক অপেক্ষার পরেও তার বাবাসহ চালকদের মোবাইল বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। পরে জানতে পারি রংপুরেই তার মরদেহ দাফন করে তার বাবা। পরবর্তিতে নিহতের নমুনায় করোনা নেগিটিভ এলে নিহতের মায়ের দাবি তার মেয়েকে ট্রাকে নির্যাতন করে মেরে ফেলা হয়েছে। অথচ রাজনৈতিক ভাবে তাকে হেয় করতে একটি চক্রের কুমন্ত্রনায় মৌসুমীর বাবা গোলাম মোস্তাফা তার বিরুদ্ধে মরদেহ দাফনের বাঁধা দেয়ার অভিযোগ তুলে গনমাধ্যমসহ পুলিশকে মিথ্য বক্তব্য দেন। প্রকৃত ঘটনা অনুসন্ধান করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান তিনি। এ জন্য ট্রাক ও মরদেহবাহি এ্যাম্বলেন্সের চালক এবং মৌসুমীর বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদের জোর দাবি বুড়িমারী ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ নেওয়াজ নিশাদের। আদিতমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, পোশাক শ্রমিক মৌসুমীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ কোন অভিযোগ দেন নি। তবে সরকারের কয়েকটি দফতরের উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত চলছে বলেও জানান তিনি।
স্টাফ রিপোটার : লালমনিরহাটের আদিতমারীতে নদী থেকে সরকারী ব্যাগে মোড়ানো সেই পোশাক শ্রমিক মৌসুমীর মৃত্যুর ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত দাবি করেছেন দাফনে বাঁধানের অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ নেওয়াজ নিশাদ।
বৃহস্পতিবার(২৮ মে) দুপুরে নিজ কার্যালয় পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন তিনি।
মৃত পোশাক শ্রমিক মৌসুমী আক্তার পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের গুচ্ছগ্রামের গোলাম মোস্তফার স্বামী নিগৃহীতা মেয়ে। তিনি একই উপজেলার বাউড়া ইউনিয়নের সরকারের হাট এলাকার মিজানুর রহমানের স্ত্রী।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার জানান, নিহত পোশাক শ্রমিক মৌসুমী গাজিপুরে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। গত বৃহস্পতিবার(২১ মে) অসুস্থতা অনুভব করলে একটি ট্রাক যোগে বাড়ির উদ্দেশ্যে রহনা দেন তিনি। পথিমধ্যে রংপুরের তাজহাট এলাকায় পৌছলে ট্রাক চালক তাকে মৃত দেখে মরদেহ ফেলে পালিয়ে যান। অজ্ঞত মরদেহ হিসেবে তাজহাট থানা পুলিশ উদ্ধার করে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠান।
পরদিন শুক্রবার খবর পেয়ে মৃতের বাবা গোলাম মোস্তফা তাজহাট থানায় গিয়ে মেয়ের মরদেহ সনাক্ত করেন। মেয়ের মরদেহ বুঝে নিয়ে বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ নেওয়াজ নিশাদকে মোবাইলে বিষয়টি অবগত করে নিজ এলাকায় দাফনের অনুমতি চান। কিন্তু চেয়ারম্যান ওই মরদেহসহ পুরো বাড়ি এবং মরদেহবাহি গাড়ি পুড়িয়ে দেয়ার হুমকী দেন বলে অভিযোগ তুলেছিলেন মৃতের বাবা গোলাম মোস্তফা। অবশেষে নিরুপায় হয়ে মরদেহ দাফন করতে তাজহাট এলাকার এক লাশবাহি গাড়ি চালককে ৫হাজার টাকা প্রদান করে বাড়ি ফিরেন।
এর দুই দিন পরে স্থানীয়দের খবরে রোববার(২৪ মে) রাতে আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের গোবর্দ্ধন গ্রামে তিস্তা নদী থেকে সরকারী ব্যাগে মোড়ানো অজ্ঞত মরদেহটি উদ্ধার করে থানা পুলিশ। পরদিন সোমবার(২৫ মে) মেয়ে মৌসুমীর মরদেহ দ্বিতীয় দিনের মত সনাক্ত করেন গোলাম মোস্তফা। অবশেষে আদিতমারী থানা পুলিশ পাটগ্রাম থানা পুলিশের সহায়তায় নিজ গ্রামে মৃত মৌসুমীকে দাফন করে।
মৃত মৌসুমীর বাবা গোলাম মোস্তফা বলেন, হাতে পায়ে ধরতে চেয়েও লাশ গ্রামে নিতে দেয়নি আবু সাঈদ নিসাদ চেয়ারম্যান। বাধ্য হয়ে একজন চালককে ৫হাজার টাকা দিয়েছি দাফন করতে। তারাও দাফন না করে নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছে। অবশেষে আবারো মেয়ের মরদেহ সনাক্ত করতে হলো আদিতমারী থানায়। পুলিশের পাহারায় মেয়ের মরদেহ দাফন করি। মেয়ের মরদেহ নিয়ে যারা ব্যবসা করেছে তাদের বিচার দাবি করেন তিনি।
মেয়ের বাবার এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিভিন্ন গনমাধ্যমে গুরুত্বসহ প্রচার হলে নিজের অবস্থান তুলে ধারতে বৃহস্পতিবার(২৮ মে) সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন বুড়িমারী ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ নেওয়াজ নিশাদ।
সংবাদ সম্মেলনে বুড়িমারী ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ নেওয়াজ নিশাদ বলেন, ট্রাকে ঢাকা থেকে ফেরার পথে পোশাক শ্রমিক মৌসুমীর মৃত্যুর খবর পেয়ে রংপুরের তাজহাট থানার সাথে যোগাযোগ করে তার বাবা গোলাম মোস্তফার হাতে মরদেহ হস্তান্তরের অনুরোধ করি। গুচ্ছগ্রামে জায়গা সংকটের কারনে নিহত মৌসুমীর দাদার কবরের পাশে তার মরদেহ দাফনের প্রস্তুতি নেয়া হয়। কিন্তু মরদেহ নিয়ে আসছি আসছি বলে অনেক অপেক্ষার পরেও তার বাবাসহ চালকদের মোবাইল বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। পরে জানতে পারি রংপুরেই তার মরদেহ দাফন করে তার বাবা। পরবর্তিতে নিহতের নমুনায় করোনা নেগিটিভ এলে নিহতের মায়ের দাবি তার মেয়েকে ট্রাকে নির্যাতন করে মেরে ফেলা হয়েছে।
অথচ রাজনৈতিক ভাবে তাকে হেয় করতে একটি চক্রের কুমন্ত্রনায় মৌসুমীর বাবা গোলাম মোস্তাফা তার বিরুদ্ধে মরদেহ দাফনের বাঁধা দেয়ার অভিযোগ তুলে গনমাধ্যমসহ পুলিশকে মিথ্য বক্তব্য দেন। প্রকৃত ঘটনা অনুসন্ধান করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান তিনি। এ জন্য ট্রাক ও মরদেহবাহি এ্যাম্বলেন্সের চালক এবং মৌসুমীর বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদের জোর দাবি বুড়িমারী ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ নেওয়াজ নিশাদের।
আদিতমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, পোশাক শ্রমিক মৌসুমীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ কোন অভিযোগ দেন নি। তবে সরকারের কয়েকটি দফতরের উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত চলছে বলেও জানান তিনি।
মন্তব্য করুন
টপ নিউজ’র আরো খবর
সংশ্লিষ্ট
ভারত থেকে ৩ দিনের মধ্যে পেঁয়াজ আসবে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
পেঁয়াজ রপ্তানি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করল ভারত
মালিকপক্ষকে জলদস্যুদের ফোন, যে কথা হলো
কমলো সোনার দাম