সোমবার, ৮ জুন ২০২০, দুপুর ০৩:৩২
স্টাফ রিপোর্টার: সংবাদ প্রকাশের জেরে রেজাউল করিম রাজ্জাক নামে এক সাংবাদিকের নামে সতর্কী করণ নোটিশ পাঠিয়েছে লালমনিরহাটের আদিতমারী থানা পুলিশ। সাংবাদিক নেতাদের নিন্দার ঝড়। রোববার(০৭ জুন) রাতে তাকে নোটিশ পাঠানো হলে তা গ্রহন না করে ফেরত পাঠান সাংবাদিক রাজ্জাক। সাংবাদিক রেজাউল করিম রাজ্জাক উপজেলার বড় কমলাবাড়ি গ্রামের মৃত লিয়াকত আলীর ছেলে। তিনি দৈনিক খোলাকাগজ পত্রিকার আদিতমারী প্রতিনিধি ও আদিতমারী প্রেস ক্লাবের প্রচার সম্পাদক। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, উপজেলার কুমড়িরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামরুল ইসলাম কাজলের নানান অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে অর্ধডজন সংবাদ প্রকাশ করেন সাংবাদিক রেজাউল করিম রাজ্জাক। সাম্প্রতি সময় ওই বিদ্যালয়ের জমি দখল নিয়ে স্থানীয় একটি গ্রুপের সাথে বিরোধ বাঁধে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। যা নিয়ে পাল্টা পাল্টি অভিযোগ রয়েছে সরকারী বিভিন্ন দফতরে। বিদ্যালয়ের জমি দখল হতে পারে মর্মে শনিবার (৬ জুন) ৯ জনকে বিবাদি করে আদিতমারী থানায় একটি সাধারন ডায়েরী (জিডি) করেন কুমড়িরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রফিজ উদ্দিন। সেই জিডিতে ৭নং বিবাদি করা হয় সাংবাদিক রেজাউল করিম রাজ্জাককে। জিডিটি আমলে নিয়ে ওই দিনই আদিতমারী থানা পুলিশ সাংবাদিক রাজ্জাকসহ উভয় পক্ষকে সতর্কী করণ নোটিশ জারি করেন। সেই নোটিশ রোববার(৭জুন) রাতে সাংবাদিক রাজ্জাককে পাঠানো হলে তিনি গ্রহন করেন নি। ঘটনা জানাজানি হলে সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন থেকে নিনন্দার ঝড় উঠে। সাংবাদিক রাজ্জাক বলেন, স্থানীয়দের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নানান দুর্নীতি ও অনিয়ম নিয়ে অর্ধডজন সংবাদ প্রকাশ করেছি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের বিদ্যালয়ের অন্য ঘটনায় ষড়যন্ত্রমুলক ভাবে আমাকে জড়িয়ে জিডি করেছেন। তিনি উচ্চতর তদন্ত দাবি করেন। আদিতমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, অভিযোগকারীর আশংকা মতে উভয় পক্ষকে সতর্কী করণ নোটিশ করা হয়েছে। নোটিশ প্রাপ্তের কেউ জড়িত না থাকলে পরবর্তিতে তদন্তে তার নাম বাদ যাবে বলেও দাবি করেন তিনি। সাংবাদিকের নামে সতর্কী করণ নোটিশের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সাংবাদিক কল্যান ট্রাষ্টের লালমনিরহাট ইউনিটের সভাপতি মাহফুজ সাজু বলেন, ঘটনাটি ন্যক্কারজনক ও উদ্দেশ্যমূলক। এ ধরনের ঘটনায় পুলিশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। উচ্চতর তদন্তের দাবি জানান তিনি। বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম(বিএমএসএফ) কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারন সম্পাদক আহম্মেদ আবু জাফর বলেন, সাংবাদিক তার পেশাগত দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ঘটনায় পুলিশ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সতর্কী করণ নোটিশ করার এখতিয়ার রাখেন বলে আমরা বিশ্বাস করি না। নোটিশ থেকে সাংবাদিকের নাম বাদ দেয়ার জোর দাবি জানান তিনি।
স্টাফ রিপোর্টার: সংবাদ প্রকাশের জেরে রেজাউল করিম রাজ্জাক নামে এক সাংবাদিকের নামে সতর্কী করণ নোটিশ পাঠিয়েছে লালমনিরহাটের আদিতমারী থানা পুলিশ। সাংবাদিক নেতাদের নিন্দার ঝড়।
রোববার(০৭ জুন) রাতে তাকে নোটিশ পাঠানো হলে তা গ্রহন না করে ফেরত পাঠান সাংবাদিক রাজ্জাক।
সাংবাদিক রেজাউল করিম রাজ্জাক উপজেলার বড় কমলাবাড়ি গ্রামের মৃত লিয়াকত আলীর ছেলে। তিনি দৈনিক খোলাকাগজ পত্রিকার আদিতমারী প্রতিনিধি ও আদিতমারী প্রেস ক্লাবের প্রচার সম্পাদক।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, উপজেলার কুমড়িরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামরুল ইসলাম কাজলের নানান অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে অর্ধডজন সংবাদ প্রকাশ করেন সাংবাদিক রেজাউল করিম রাজ্জাক। সাম্প্রতি সময় ওই বিদ্যালয়ের জমি দখল নিয়ে স্থানীয় একটি গ্রুপের সাথে বিরোধ বাঁধে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। যা নিয়ে পাল্টা পাল্টি অভিযোগ রয়েছে সরকারী বিভিন্ন দফতরে। বিদ্যালয়ের জমি দখল হতে পারে মর্মে শনিবার (৬ জুন) ৯ জনকে বিবাদি করে আদিতমারী থানায় একটি সাধারন ডায়েরী (জিডি) করেন কুমড়িরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রফিজ উদ্দিন। সেই জিডিতে ৭নং বিবাদি করা হয় সাংবাদিক রেজাউল করিম রাজ্জাককে।
জিডিটি আমলে নিয়ে ওই দিনই আদিতমারী থানা পুলিশ সাংবাদিক রাজ্জাকসহ উভয় পক্ষকে সতর্কী করণ নোটিশ জারি করেন। সেই নোটিশ রোববার(৭জুন) রাতে সাংবাদিক রাজ্জাককে পাঠানো হলে তিনি গ্রহন করেন নি। ঘটনা জানাজানি হলে সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন থেকে নিনন্দার ঝড় উঠে।
সাংবাদিক রাজ্জাক বলেন, স্থানীয়দের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নানান দুর্নীতি ও অনিয়ম নিয়ে অর্ধডজন সংবাদ প্রকাশ করেছি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের বিদ্যালয়ের অন্য ঘটনায় ষড়যন্ত্রমুলক ভাবে আমাকে জড়িয়ে জিডি করেছেন। তিনি উচ্চতর তদন্ত দাবি করেন।
আদিতমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, অভিযোগকারীর আশংকা মতে উভয় পক্ষকে সতর্কী করণ নোটিশ করা হয়েছে। নোটিশ প্রাপ্তের কেউ জড়িত না থাকলে পরবর্তিতে তদন্তে তার নাম বাদ যাবে বলেও দাবি করেন তিনি।
সাংবাদিকের নামে সতর্কী করণ নোটিশের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সাংবাদিক কল্যান ট্রাষ্টের লালমনিরহাট ইউনিটের সভাপতি মাহফুজ সাজু বলেন, ঘটনাটি ন্যক্কারজনক ও উদ্দেশ্যমূলক। এ ধরনের ঘটনায় পুলিশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। উচ্চতর তদন্তের দাবি জানান তিনি।
বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম(বিএমএসএফ) কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারন সম্পাদক আহম্মেদ আবু জাফর বলেন, সাংবাদিক তার পেশাগত দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ঘটনায় পুলিশ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সতর্কী করণ নোটিশ করার এখতিয়ার রাখেন বলে আমরা বিশ্বাস করি না। নোটিশ থেকে সাংবাদিকের নাম বাদ দেয়ার জোর দাবি জানান তিনি।
মন্তব্য করুন
টপ নিউজ’র আরো খবর
সংশ্লিষ্ট
ভারত থেকে ৩ দিনের মধ্যে পেঁয়াজ আসবে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
পেঁয়াজ রপ্তানি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করল ভারত
মালিকপক্ষকে জলদস্যুদের ফোন, যে কথা হলো
কমলো সোনার দাম