আর্কাইভ  শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ● ৬ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: পলাশবাড়ীতে আসামির ছুরিকাঘাতে বাদীর মৃত্যু, গ্রেফতার ১       মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের সন্তান-স্বজনের ভোটে না দাঁড়ানোর নির্দেশ       ভোজ্যতেলের দাম বাড়ল, খোলা তেলে সুখবর       বিএনপি নেতা সোহেলের নিঃশর্ত মুক্তি দাবিতে রংপুরে  মানববন্ধন ও সমাবেশ        খরার ঝুঁকিতে রংপুর অঞ্চল      

 width=
 

নীলফামারীতে কোভিড-১৯ পরীক্ষার রির্পোট আসছেনা

সোমবার, ৮ জুন ২০২০, বিকাল ০৬:৫৮

 নীলফামারী প্রতিনিধি: কোভিড-১৯ (করোনা ভাইরাসে) বেশী শনান্তের কারনে নীলফামারী জেলা লাল জোন হিসাবে স্বাস্থ মন্ত্রনালয়ের তালিকায় রয়েছে। এ পর্যন্ত জেলায় করোনা ভাইরাসে পজেটিভের সংখ্যা ১৫৬ জনে দাঁড়িয়েছে। এরমধ্যে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। ৬৯ জন সুস্থ হয়ে বর্তমানে ৮৩ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে। গত এ সপ্তাহে জমা পড়া ৬২৬ টি নমুনার বির্পোট আজ সোমবার বিকাল সারে ৫টা পর্যন্ত স্থানীয় স্বাস্থ বিভাগ পায়নি। স্বাস্থ বিভাগ সুত্র মতে নীলফামারী জেলার দুই হাজার ৩০৫ জনের লালারসের নমুনার মধ্যে রির্পোট পাওয়া গেছে এক হাজার ৬৭৯ জনের। এরমধ্যে করোনা পজেটিভ রোগী হয় ১৫৪জন। নেগেটিভ আসে এক হাজার ৫১৯ জনের। নমুনা ইনভেলিড হয় ৬ জনের। সুত্র মতে শুরুর দিকে নীলফামারীর নমুনা পরীক্ষা করা হতো রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে। এরপর দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেলে পিসিআর ল্যাব চালু হলে রংপুর বিভাগের আট জেলার মধ্যে চারটি করে জেলার নমুনা ভাগ করা হয়। এতে নীলফামারী জেলার নমুনা পরীক্ষার জন্য দিনাজপুর প্রেরন হয়ে আসছে। দিনাজপুরে নীলফামারী,পঞ্চগড়,ঠাকুরগাঁও ও দিনাজপুর জেলার এবং রংপুর মেডিকেলে গাইবান্ধা,রংপুর,কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাট জেলার নমুনা পরীক্ষা হয়ে আসছে। দুই স্থানে প্রতিদিন ১৮৮ টি নমুনা করে মোট ৩৭৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। একটি সুত্র যায় দিনাজপুরে লালারসের নমুনার স্তুপ দিন দিন জমতে থাকে। ফলে গত ৩১ মে থেকে ৬ মে পর্যন্ত নীলফামারী জেলার লালারসের নমুনা পরীক্ষা থমকে গেছে সেখানে। এরমধ্যে জেলার ১০ জন পুলিশ সদস্যের জরুরী নমুনা পরীক্ষার জন্য গত ৩ জুন ঢাকায় প্রেরন করা হয়। এরমধ্যে ৭ জুন ওই ১০ জন পুলিশ সদস্যের রির্পোট আসে ঢাকা থেকে। এতে দুইজন সদস্য পজেটিভ হয়। ফলে এ জেলার লালসারের নমুনা জমা হয়ে রয়েছে ৬২৬ জনের। পরবর্তীতে ওই সকল নমুনা দিনাজপুর হতে প্রেরন করা হয় ঢাকায়। কিন্তু দিনাজপুর বা ঢাকা থেকেও সোমবার(৮ জুন) বিকাল সারে ৫টা পর্যন্ত এ জেলায় কোন রির্পোট আসেনি। এতে করোনাভাইরাস পজেটিভ কারা, সেটাও দ্রæত জানা যাচ্ছে না। ফলে সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়ছে। এ দিকে ট্রেন ও বাসে করে প্রতিদিনই কয়েক হাজার মানুষ জেলার বাহিরে যাচ্ছে ও আসছে । তাঁদের লালারস সংগ্রহের পরিমাণও কিন্তু অনেকটাই কম। নির্ভরযোগ্য একটি সুত্র জানায় জেলার সৈয়দপুর উপজেলার লালারসের নমুনা নেয়ার পর করোনা উপসর্গ নিয়ে ইতোমধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়। কিন্তু ওই মৃত তিন ব্যাক্তিদের সহ উপজেলার ৭৫ জনের রির্পোট এক সপ্তাহেও পাওয়া যায়নি। নীলফামারী সদরে ১৯০,ডোমারে ৯৭,ডিমলায় ১১১,জলঢাকার ৯৭,কিশোরীগঞ্জ উপজেলার ৭৫টি নমুনার রির্পোট ঝুলে রয়েছে। এদিকে যাদের নমুনা নেয়া হয়। তাদের রির্পোট এক সপ্তাহে না আসায় অনেকে বাড়ি হতে বেরিয়ে ঘুরাফেরা করছে। এতে এলাকা এলাকায় চরম আতঙ্ক বাড়ছে। অনেকে নমুনা দিয়ে তিনদিনের মধ্যে রির্পোট না পেয়ে চুপি সারে ঢাকা সহ বিভিন্নস্থানে চলে গেছে। অন্য দিকে সরকারি কোয়ারান্টিনে থাকা কে পজেটিভ, আর কে নেগেটিভ, সেটা জানা যাচ্ছে না। ঝুঁকিও থেকে যাচ্ছে। নীলফামারীতে এক সপ্তাহ ধরে কোন রির্পোট না আসায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে(ফেসবুকে) অনেকে এ জেলায় দ্রæত পিসিআর ল্যাব স্থাপনের দাবি করেছে। জেলার সিভিল সার্জন ডাঃ রনজিৎ কুমার বর্মন জানান আমরা নমুনা সংগ্রহের পর দিনাজপুর পিসিআর ল্যাবে প্রেরন করছি।

মন্তব্য করুন


 

Link copied