বুধবার(১০জুন) দুপুরে বুড়িমারী স্থল বন্দরের পুলিশ কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে সকাল ৯টায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চালু হয়। কিন্তু দুপুর ২টায় পূনরায় বন্ধ হয়ে যায়।
জানাগেছে,করোনা রোধে ভারত ও বাংলাদেশ সরকার যৌথ সিদ্ধান্তে প্রায় আড়াই মাস ত্রিদেশীয় বাণিজ্য কেন্দ্র খ্যাত চ্যাংড়াবান্ধা ও বুড়িমারী স্থলবন্দরের সব কার্যক্রম বন্ধ রাখে। ফলে ঝিমিয়ে পড়ে এ স্থলবন্দর। অর্থনীতিতে মন্দাভাব দেখা দেয়। বেকার হয়ে পড়ে হাজার হাজার শ্রমিক। এরপর গত সোমবার (৮ জুন) দিনব্যাপী বুড়িমারী স্থলবন্দর চেকপোস্ট এলাকার শূন্যরেখায় বিজিবি ও বিএসএফের উপস্থিতিতে বাংলাদেশি ও ভারতীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে বুধবার (১০ জুন) থেকে বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চালু হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজ সকাল ৯টা থেকে বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চালু হয়। সকালে থেকে পন্যবাহী বাংলাদেশী ২৫ টি ট্রাক ভারতে ঢুকে এবং ভারত থেকে ৪৫ টি ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করে। পরে দুপুর ২টায় চ্যারাবান্ধা স্থলবন্দর এলাকার ভারতীয় লোকজন করোনা আতংকে জড়ো হয়ে বাংলাদেশী ট্রাক ঢুকতে বাধা দেয়। ফলে চ্যারাবান্ধা স্থল বন্দর কৃতপক্ষ বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়।
বুড়িমারী স্থল বন্দর ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক আবু সাঈদ নেওয়াজ নিশাত বলেন, ভারতীয় লোকজন করোনার আতংকে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে। বিকেলে ভারতীয় ব্যবসায়দের সাথে কথা বলার চেষ্টা চলছে। কথা না হওয়া পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না কখন স্থলবন্ধর চালু হবে।
বুড়িমারী স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও পাটগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যান মো. রুহুল আমীন বাবুল এর সাথে মুঠোফোনে চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায় নি।
