আর্কাইভ  বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪ ● ১৪ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা       রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমা অব্যাহত

শনিবার, ২৭ জুন ২০২০, বিকাল ০৭:২৫

নীলফামারী প্রতিনিধি॥ বিপদসীমায় দন্ডায়মান তিস্তা নদী। চব্বিশ ঘন্টার বেশী সময় ধরে উত্তরের এই নদীটির পানি বিপদসীমা অতিক্রম করে চলেছে। নদী অববাহিকা সহ নিমাঞ্চল এখনও রয়েছে প্লাবিত। চরবেষ্টিত গ্রামগুলোর অসংখ্য ঘরবাড়ির ভেতর দিয়ে নদীর পানি বয়ে চলেছে। আজ শনিবার(২৭ জুন/২০২০) সকাল ৬টায় দেশের সর্ববৃহৎ তিস্তা ব্যারাজের নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও সকাল ৯টায় আরো দুই সেন্টিমিটার কমে আসে। তবে দুপুর ১২টায় উজানের ঢল বৃদ্ধি পাওয়ায় ৭ সেন্টিমিটার আরও বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গতকাল শুক্রবার(২৬ জুন/২০২০) তিস্তা নদীর পানি একই পয়েনেট ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার বিপদসীমা ৫২ দশমিক ৬০ মিটার। বর্তমানে পানির প্রবাহ চলছে ৫২ দশমিক ৮০ মিটার। সুত্র মতে উজানের ঢল বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিস্তার ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সর্তকীকরন কেন্দ্র বিষয়টি নিশ্চিত করে জানায় গত ২৪ ঘন্টায় তিস্তা অববাহিকায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৭৭ মিলিমিটার। পানি উন্নয়ন বোর্ডের উত্তরাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী জ্যোতি প্রসাদ ঘোষ জানান পরিস্থিতি সামাল দিতে দেশের সর্ববৃহৎ তিস্তা ব্যারাজের ৪৪ জলকপাট ২৪ ঘন্টায় খুলে রাখা হয়েছে। তিস্তা ব্যারাজের ফাড বাইপাস (ফাড ফিউজ) এর কাছে ঢলের পানি এখনও ৪ ফিড নিচে থাকায় লাল সংকেত জারি করার পরিস্থিতি হয়নি। তবে হলুদ সংকেতের মাধ্যমে তিস্তাপাড়ের মানুষজনকে নিরাপদে থাকতে বলা হয়েছে। এদিকে ভারী বর্ষন উজানের ঢলে তিস্তা নদীতে সৃষ্ট বন্যায় ডিমলা উপজেলার পূর্বছাতনাই, খগাখড়িবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশা চাঁপানি, ঝুনাগাছ চাঁপানি, গয়াবাড়ি এবং জলঢাকা উপজেলার গোলমুন্ডা, ডাউয়াবাড়ি, শৌলমারী ও কৈমারী ইউনিয়নের প্রায় ১৫টি চরের ৫ হাজার পরিবারে ২০ হাজার মানুষ বন্যাকবলিত হয়েছে বলে জনপ্রতিনিধিরা জানায়। ঝুনাগাছচাঁপানী ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান জানান তার এলাকার ছাতুনামা ও ভেন্ডাবাড়ির অবস্থা বেহাল। সেখানকার ৭০০ পরিবারের ঘরে নদীর পানি প্রবেশ করেছে। এ ছাড়া ১২ পরিবারের বসতঘর নদীতে বিলিন হয়েছে। খগাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলা লিথন বলেন তার কিছামত ছাতনাই গ্রামের ৩০০ পরিবার বন্যা কবলিত। টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মঈনুল ইসলাম বলেন চরখড়িবাড়ি এলাকায় স্বেচ্ছশ্রমে নির্মিত বালির বাঁধটি অত্যান্ত ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। সকলে মিলে বাধটি রক্ষার চেষ্টা চলছে। এটি বিধ্বস্থ্য হলে চরখড়িবাড়ি গ্রামটি পানির তোড়ে তলিয়ে যাবে।পূর্বছাতনাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খান বলেন তার এলাকা ঝাড়শিঙ্গেশ্বর গ্রামটি নদীতে ভাসছে।

মন্তব্য করুন


 

Link copied