আর্কাইভ  বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪ ● ১৪ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

আন্তর্জাতিক যোগাযোগের গেটওয়ে হবে কুড়িগ্রাম

আন্তর্জাতিক যোগাযোগের গেটওয়ে হবে কুড়িগ্রাম

 width=
 
শিরোনাম: কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা       রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা       ২৯ রমজান কি অফিস খোলা?       আজ ঐতিহাসিক রংপুর ক্যান্টনমেন্ট ঘেরাও দিবস       লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ হস্তান্তর      

 width=
 

কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও বানভাসিদের দুর্ভোগ কমেনি

রবিবার, ৫ জুলাই ২০২০, রাত ১১:৫৬

সাইফুর রহমান শামীম, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি ধীর গতিতে কমতে থাকায় জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। নদ-নদীর তীরবর্তী চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের ঘর বাড়ি থেকে পানি নামতে শুরু করলেও দুর্ভোগ কমেনি বন্যা দুর্গতদের। চলমান করোনা ও বন্যা পরিস্থিতিতে হাতে কাজ না থাকায় খাদ্য সংকটে পড়েছেন তারা। এ অবস্থায় সরকারী বেসরকারী সহযোগীতার দিকে তাকিয়ে আছেন হতদরিদ্র পরিবারগুলো। বন্যা কবলিত এলাকায় শিশু ও গবাদি পশুর খাদ্য সংকট নিয়েও বিপাকে পড়েছেন বানভাসী মানুষেরা। এসব এলাকার রাস্তা-ঘাট পানিতে তলিয়ে থাকায় বিছিন্ন রয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। উলিপুর উপজেলার সাহেবের আলগা ইউনিয়নের জাহাজের আলগা গ্রামের আমান আলী, রহম আলী জানান, বাড়ি থেকে এখনও পানি নেমে যায়নি। কাজ কর্ম সব বন্ধ রয়েছে। ঘরে খাবার নেই, ধার দেনাও করার উপায় নাই। এ অবস্থায় সরকারী সহযোগীতা ছাড়া ছেলে মেয়ে নিয়ে বাঁচার কোন উপায় নাই।  বন্যা কবলিত এলাকার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের সাথে কথা বলে জানা গেছে বন্যার্তদের জন্য যে পরিমান সহযোগীতার প্রয়োজন তার ১০ ভাগের এক ভাগও মিলছে না। উলিপুর উপজেলার বেগমগন্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো: বেলাল হোসেন জানান, আমার ইউনিয়নের বন্যা কবলিতদের জন্য মাত্র ৩০০ প্যাকেট বরাদ্দ পেয়েছি। আর পানিবন্দি পরিবারের সংখ্যা হলো সাড়ে ৩ হাজার। শনিবার নৌকা নিয়ে এই ৩০০ প্যাকেট বিতরণ করেছি। বন্যা কবলিত মানুষেরা খুবই কষ্টে আছে। তাদের জরুরী খাদ্য সহায়তা দরকার বলে জানান তিনি।

জেলা প্রশাসক মো: রেজাউল করিম জানান, বন্যা শুরুর পরপরই জেলার বন্যা কবলিত মানুষের মাঝে সরকারী ৩০২ মেট্রিক টন চাল ও ৩৬ লাখ ৬৮ হাজার টাকার শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। নতুন করে ২০০ মেট্রিক টন চাল, ২ লাখ টাকা ও ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ পাওয়া গেছে। যা বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আরিফুল ইসলাম জানায়, কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি হ্রাস অব্যাহত রয়েছে। রোববার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে বিপদসীমার ৪৯ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

মন্তব্য করুন


 

Link copied